অনলাইন ডেস্ক :

সরকারের সমালোচনা না করলে প্রচার বাড়বে না, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পত্রিকা-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ সরকার কখনও হয়রানি করে না বলেও জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি হয়রানি করার মতো কিছু না করে থাকে তাহলে তাকে কেন হয়রানি করা হবে? সাধারণত সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগ কখনও হয়রানি করে না। আমাদের বিরুদ্ধে তো সমালোচনা চলছেই। সমস্ত পত্রিকা এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আছে তার একটা হিসেব প্রতি ১৫ দিনে সংগ্রহ করে দেখেছি, আমরা সরকারে আছি, আমাদের বিরুদ্ধে নেগেটিভ কথাটাই বেশি। পজেটিভ কথা বা হেডলাইন খুব কমই থাকে। প্রতি ১৫ দিন পর পর এর একটি হিসেব আমরা সংগ্রহ করি।’

‘একটা মানসিক ব্যাধি আছে আমাদের দেশে, অনেকের ধারণা সরকারের বিরুদ্ধে না বললে বুঝি মিডিয়া চলবেই না। এই মানসিক ব্যাধি থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে’ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। কারেও আনুকূল্য চাই না। কিন্তু দেশের জন্য কেউ যদি ভাল কাজ করে তা যেন ভালভাবে লেখে সেটা আমরা চাই।

নিজেকে সাংবাদিক পরিবারের সদস্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আমি করে দিয়েছি। এ সময় সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিকদের জন্য আবাসনের কথা বলেন তিনি।

বিএনপিই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। এ সময় ঢাকা-১০ এবং মাগুরা উপ নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, তাদের মুখে সুষ্ঠু নির্বাচন-গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। তারা ভোট কারচুপি করে, ভুয়া ভোটার বানায় তারা আবার নির্বাচনী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে। তারা যখন ভোটে পারে না, ষড়যন্ত্র খোঁজে। গণতন্ত্র যেন বজায় থাকে, সেটাই আমি চাই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশে একটি শ্রেণি আছে, যারা দল গঠন করতে, ভোট করতে ভয় পায়, জনগণকে ভয় পায়। যদি ইর্মাজেন্সি কিছু আসে, তাহলে পতাকা পায়। জ্ঞানী-গুণী হয়েছে তারা পাপমন নিয়ে কাজ করে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু সংবাদপত্র উল্টাপাল্টা লিখেছে তা প্রমাণ হয়নি। এখন তাদের এখন কী করা উচিত চিন্তা করেন। এটা কী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা? অভিযোগ তুললেও দুর্নীতির বিষয়টি বিশ্বব্যাংক প্রমাণ করতে পারিনি। কানাডার ফেডারেল আদালত দুর্নীতির বিষয়টি বানোয়াট বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, সেটিই এখন প্রমাণিত হয়েছে।