অনলাইন ডেস্ক : ৬২ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ ছাড়া সরকারি চিনির দাম বরাবরের মতো ৬৫ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হাশেম খান বলেন, রমজানের সময় চাহিদা বাড়ে। আর এ সুযোগে মিলমালিকরা চিনি খালাসে গড়িমসি করেন। ফলে বাড়তি পরিবহন ও সময়ের কারণে প্রতিবছরই রমজানে দাম বাড়ে। আসলে এ খাতে সরকারের সুনির্দিষ্ট মনিটরিং প্রয়োজন। কারণ রমজানের একমাস আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা।

দেশি পেঁয়াজের দাম একমাস আগে ছিল মাত্র ৩৫ টাকা, আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩০ টাকা কেজি দরে। রমজানকে ঘিরে তা এখন বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৫০ ও ৪০ টাকা করে। দেশি রসুন ৫০ ও আমদানিকৃত ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমান দাম ৬০ ও ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এ ছাড়া সয়াবনি তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে।

আর একমাস আগের ৭০ টাকা দরের ছোলা গতকাল বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি। দাম বেড়েছে বেগুনেরও। একমাস আগে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। ৩০ টাকা দরের পেঁপে গতকাল ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়।

কারওয়ান বাজারের আড়তদার শামীম আহমেদ বলেন, পণ্যের চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ কমে গেলে দাম তো বাড়বেই। রমজানের সময় এ ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। পরিবহন ও বাজার অব্যবস্থাপনার জন্য এ দাম বেশি বাড়ে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা নমনীয়।

রমজানের আগে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে মাছের দাম। গত মাসে রুইমাছ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২৩০ টাকা দরের কাতলা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি। মাঝারি আকারের চাষ করা শিংমাছ গত মাসে ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ১৪০ টাকার তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।