পটুয়াখালী: বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় শিফটের পাঠদান বন্ধ থাকার প্রতিবাদে এবং পাঠদান নিয়মিতকরণের দাবিতে পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্বিতীয় শিফটের সকল শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ক্লাস বন্ধ থাকতে পারে না। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের কাছে বারবার গেলেও তারা ক্লাস শুরুর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। সবশেষ গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আমাদের ক্লাস শুরু করার জন্য আল্টিমেটাম দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনো নিরব আছেন। তাই আমরা আজ এই কঠোর কর্মসূচি পালন করছি।
সরকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করেছে। তবে এক শিফটের শিক্ষক-কর্মচারী দিয়েই দ্বিতীয় শিফট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সম্মানী দিয়ে আসছিল এবং তা আরও বাড়ানোর কথা ছিল।
কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তা বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে গত ২৯ জুলাই ঘোষণা দিয়ে শিক্ষকরা দ্বিতীয় শিফটে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত এবং গত ১ আগস্ট থেকে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।
এতে সারাদেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শিফটের ২২ হাজার শিক্ষার্থী এবং ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এ বছর নতুন ভর্তি হওয়া ২৫ হাজারসহ আগের তিন সেশনের প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।
তবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার কথা জানায়, যা বর্তমান বেতন স্কেলের ২৫ শতাংশ।
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষক বাংলানিউজকে জানায়, আমরা প্রত্যেকেই প্রথম শিফটের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত। অন্তত ৫০ শতাংশ বেতন ভাতা নিশ্চিত করা না হলে আমরা দ্বিতীয় শিফটের কাজ করবো না। প্রয়োজনে দ্বিতীয় শিফটের জন্য সরকার আলাদা জনবল নিয়োগ দিতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এমআরএ