দিল্লী পাবলিক স্কুল (ডিপিএস এসটিএস) আয়োজিত ডিপিএস মডেল ইউনাইটেড নেশন (ডিপিএসএমইউএন) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলে এ সম্মেলন।
৪র্থ বারের মত অনুষ্ঠিত সম্মেলনটিতে ৩৩টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রতিনিধি হওয়ার পাশাপাশি এমইউএন বিশ্বে তাদের জ্ঞান ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার জন্য এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে ১৩টি কমিটি ছিল এবং ডিপিএস এস টি এস স্কুল থেকে ১০৯ জন প্রতিনিধি ছিল। স্কুলের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নির্দেশানুযায়ী এক স্কুলের শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সাথে পারস্পরিক সমঝোতার জোট গঠন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কনসিলিয়াম এডুকেশনের সিইও ও ডিপিএস এসটিএস স্কুলের এডুকেশনাল অ্যাডভাইসর অ্যান্ড্রু হোমডেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইকোনমিক রিলেশন্স ডিভিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি বেবি রাণী কর্মকার।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কূটনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও জাতিসংঘ (ইউএন) সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করে। দিল্লী পাবলিক স্কুল (ডিপিএস এসটিএস) আয়োজিত সম্মেলনটিতে সুন্দর করে কথা বলা, বিতর্ক, লেখনীর দক্ষতা ছাড়াও একটি বিষয়কে ভিন্নভাবে চিন্তা করা/ সমালোচনা, দলগতভাবে কাজ করার কৌশলসহ নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের শেখার নতুন অভিজ্ঞতা দেয়ার পাশাপাশি সম্মেলনের শক্তিবৃদ্ধি করতে ও খুঁটিনাটি বিষয়ের চিত্র দেখাতে সাহায্য করেছে। উত্তপ্ত যুক্তি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের চিত্তাকর্ষক বক্তব্যসহ কমিটির অধিবেশনগুলো ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং ফলপ্রসূ।
গত চার বছর ধরে এই সম্মেলনটি আয়োজন করছে দিল্লী পাবলিক স্কুল (ডিপিএস এসটিএস)। ইতিমধ্যে, স্কুলটির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব বিষয়ক দক্ষতা অর্জন করেছে।
সম্মেলনের ২য় দিনে ‘বাংলার মেলা’ শীর্ষক মেলার আয়োজন করা হয় যেখানে অংশগ্রহনকারীরা ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরে অংশগ্রহণ করে। সম্মেলনের শেষ দিন ছিল ‘গালা নাইট’। সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা রেড কার্পেট ধরে এগিয়ে গিয়ে লাইভ মিউজিকের সুরের মূর্ছনায় ডুবে গিয়ে মন্ত্রমুগ্ধকর পরিবেশটি উপভোগ করেন।
এ নিয়ে ডিপিএস এসটি এস স্কুলের উপাধ্যক্ষ মধু ওয়াল বলেন, ‘এই সম্মেলনটি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, সুন্দর করে লেখার দক্ষতা অর্জন, দলগতভাবে কাজ করার দক্ষতা অর্জন সর্বোপরি একজন মানুষ যা করতে চান সে বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করার পাশাপাশি বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবনার সুযোগ করে দেয়। তরুণদের দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে নাগরিক হিসেবে বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এ কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম