ভালোবাসা কি আর দিনক্ষণ দেখে হয়। অথবা ভালোবাসার জন্য কি আর নির্দিষ্ট দিনের দরকার আছে? প্রতিদিনই তো ভালোবাসা দিবস।
এমন অনেক কথাই বলে থাকেন অনেকে। তারপরও বিশ্ব জুড়ে বেশ ঘটা করেই ভালোবাসা দিবস পালন করা। তবে জানেন কি? কোন দেশ কীভাবে এ দিনটিকে পালন করে। চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু দেশের অদ্ভুত সব ঐতিহ্য সম্পর্কে-
জাপান
জাপানে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা হয় একটু ভিন্নভাবে। এ দিনে নারীরা তাদের সঙ্গীকে চকোলেট বা বিভিন্ন জিনিস উপহার দেন। জাপানে দীর্ঘদিন যাপত এ রীতি পালিত হচ্ছে। এ দিনে নারীরা যে কোনো পুরুষকেই চকোলেট উপহার দিতে পারেন। হনমেই-চোকো নামক বিশেষ এক চকোলেট এদিন নারীরা তার প্রেমীককেই উপহার দিয়ে থাকেন। এর এক মাস পর ১৪ মার্চ তারা পালন করেন হোয়াইট দিবস। এ দিন অবশ্য পুরুষদের তাদের সঙ্গীকে উপহার দেন।
স্লোভেনিয়া
স্লোভেনিয়ায় ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি অন্যান্য দেশের মতো ভালোবাসা দিবস নয়। তারা এ দিনটি পালন করে বসন্ত উৎসব করে। তবে স্লোভেনিয়ারা ১২ মার্চ ভালোবাসা দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকে।
এস্তোনিয়া
এস্তোনিয়ানরা ভালোবাসা দিবসে বন্ধু দিবস হিসেবে উদযাপন করেন। তাদের কাছে এ দিনটি সোব্রাপাইভ নামে পরিচিত। এস্তোনিয়ার মানুষেরা এই দিনটি সহকর্মী এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করে কাটায়।
ঘানা
ঘানার মানুষেরা এ দিনটিকে পালন করেন চকোলেট দিবস হিসেবে। এ দিনে সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে থাকে চকোলেট থিমযুক্ত মেন্যু। এ ঐতিহ্য তারা পালন করে আসছে বহু দিন থেকে। বিশ্বের বৃহত্তম কোকো উৎপাদনের এ দেশ তাদের ঐতিহ্যকে সারাবিশ্বে ধরে রাখতেই এমন রীতি পালন করে থাকে।
ডেনমার্ক এবং নরওয়ে
ডেনমার্ক এবং নরওয়ের লোকেরা ভালোবাসা দিবসকে পালন করে থাকেন একটু ভিন্নভাবে। এ দিন পুরুষরা বেনামে নারীদের প্রেমের নোট বা চিঠি পাঠান। চিঠির সঙ্গে প্রেরকের নামের একটি অক্ষরের সংখ্যার একটি সেট থাকে। আর তা থেকে প্রেরকের নাম অনুমান করে নিতে হয়। যদি অনুমান ঠিক হয় তবে সে নারী বছরের পরের দিকে ইস্টার ডিম পদবী পাবে।
ফিলিপাইন
ফিলিপাইনরা ভালোবাসা দিবসটিকে একেবারে বিবাহ দিবস হিসেবেই পালন করে। এ দিন তারা গণবিয়ের আয়োজন করে। একসঙ্গে কয়েকশ দম্পতির বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। স্বীকার করতেই হয় তারাই সবচেয়ে রোমান্টিকভাবে পালন করেন ভালোবাসা দিনটিকে।
সূত্র:ইন্ডিয়াটুডে