অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কর্নাটক রাজ্যে কারা সরকার গড়বে, শেষ বেলায় এসে সেই ক্লাইমেক্স বড় হয়ে উঠেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও সরকার গড়তে পারছে না রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গড়ছে কংগ্রেস।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজ্যের মোট ২২২টি আসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল পেয়েছে ১০৪টি। সরকার গঠনের জন্য দরকার ১১২টি আসন।
অন্যদিকে প্রধান দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও জনতা দল যথাক্রমে পেয়েছে ৭৮টি ও ৩৮টি। দুই দল মিলে হচ্ছে ১১৬টি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) নেতা এইচডি কুমারস্বামীকে চিঠি দিয়ে কংগ্রেস ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, তারা সরকার গড়ুক। কংগ্রেস সেই সরকারকে সমর্থন দেবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন চমকের জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না বিজেপি।
এক চিঠির মাধ্যমেই বিজেপির ঘর ভাঙল কংগ্রেস। এদিকে ভারতে বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতাদের হুমকি দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দিয়ে এমন অভিযোগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং।
কংগ্রেসের অন্য সিনিয়র নেতারাও ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠিতে মোদি যাতে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ, হুমকি প্রদর্শন ও ভয় দেখানো ভাষা ব্যবহার না করেন প্রেসিডেন্টকে তা দেখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ ধরনের ব্যবহার প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদার পক্ষে শোভনীয় নয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ, গত ৬ মে তিনি কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে দেয়া ভাষণে হুমকি দেন, ‘কংগ্রেস নেতারা মন দিয়ে শুনে রাখুন, এটা নরেন্দ্র মোমি, সীমা ছাড়াবেন না, তাহলে কিন্তু মূল্য দিতে হবে।’
কংগ্রেসের দাবি, এ ধরনের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর, ভীতিপ্রদ। তার ওই বক্তব্যের উদ্দেশ্যই ছিল অপমান করা, শান্তি নষ্টে প্ররোচনা দেয়া।