দর্পণ ডেস্ক : সুদানে নিরাপত্তা হেফাজতে শিক্ষকের মৃত্যুর দায়ে ২৯ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন একটি আদালত। সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় গত ফেব্রুয়ারিতে ওই শিক্ষককে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দারা। এরপর কারাগারে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, হেফাজতে নেয়ার পর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে।

আহমেদ আল খায়ের (৩৬) নামের ওই শিক্ষককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে সোমবার এসব গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক সাদক আবদেল রহমান। শিক্ষক হত্যায় অভিযুক্তদের মধ্যে আরও ১৩ জনকে আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে এবং চারজন খালাস পেয়েছেন। বশিরবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বিক্ষোভকারী গোষ্ঠীটি এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। খবর বিবিসির।

তিন দশক ক্ষমতায় থাকা বশির চলতি বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন। তার আগে ও পরের কয়েক মাসে আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপকভাবে দমনপীড়ন ও নির্যাতন চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে সুদানের বিক্ষোভে অন্তত ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন। সেই দমনপীড়নের ঘটনায় হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম রায়।

ওই শিক্ষকের ভাই রায়ের পর জানান, ‘এটা বিচারব্যবস্থার বিজয়ের দিন, সমগ্র সুদানবাসী এবং বিপ্লবের জন্য জয়’। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে’।

এই রায়ের সময় আদালতের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ। তাদের হাতে ছিলো সুদানের জাতীয় পতাকা ও শিক্ষক আহমেদ আল খায়েরের ছবি। তারা এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উল্লাস করেন।