পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না
হওয়ায় সপ্তম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষনে সহায়তার
অভিযোগে পুলিশ আল আমিন (৩০) ও কবির (৩০) নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করে
বুধবার (১৮ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে। ধর্ষক ফরহাদ খাঁ (১৯)
স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিম
কিশোরী বর্তমানে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশ
জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মহিপুর থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে ভিকটিম
পরিবার মামলা করার পর পুলিশ দু’জনকে ধূলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী থেকে
গ্রেফতার করে।
এর আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চরচাপলী গ্রামে ১৪
ডিসেম্বর রাতে নিজ বাড়ীতে বাবা-মা’র অনুপস্থিতিতে বৃদ্ধা দাদীর সাথে থাকা
মুসুল্লীয়াবাদ দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনীতে পড়–য়া ওই কিশোরী ধর্ষনের
শিকার হয়। ধর্ষক ফরহাদ খাঁ তার সহযোগী আল আমিন ও কবিরের সহায়তায় ওড়না
দিয়ে কিশোরীর মুখ বেঁধে ঘরের পিছনে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গভীর
রাতে একই বিছানায় থাকা দাদী কমলা বেগম নাতিকে না দেখে ঘরের বাহিরে এসে
অচেতন ও বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। ধর্ষক ফরহাদ বাগেরহাট জেলার
শরখোলা থানার রায়েনদা গ্রামের মনির খাঁয়ের ছেলে।
কিশোরীর স্বজনরা জানান, এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনার পরদিন এলাকার
একটি প্রভাবশালী মহল কিশোরীর পরিবারকে মামলা ও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে
বাঁধা প্রদান করে এবং সালিশের আশ্বাস দিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ফরহাদকে
পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। কিন্তু কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৬
ডিসেম্বর কিশোরীকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পিতা
থানায় মামলা দায়েরের পরই দুই আসামীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর
আসামী ফরহাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা
সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।