কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ মো: কামাল খানের খামখেয়ালীপনা, স্বেচ্ছাচারিতা এবং আইনজীবীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আদালত বর্জন শুরু করেছে আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৫ মে) সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির কলাপাড়াস্থ প্রতিনিধি ও চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিকের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা শেষে সহকারী জজ কামাল খানের অপসারনের দাবীতে আইনজীবীরা অনির্দিষ্ট কালের আদালত বর্জন কর্মসূচী শুরু করে বলে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সূত্র।
আইনজীবিদের সূত্রে জানা যায়, ১৪ মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে জেলা আইনজীবী ভবনে ভোট দিতে যায় কলাপাড়া চৌকি আদালতে প্রাকটিসরত সকল আইনজীবীরা। এতে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত না বসলেও সহকারী জজ মো: কামাল খান এজলাসে বসে সহকারী জজ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এদিন তিনি ১টি মামলা খারিজ, ৪টি মামলায় জরিমানা করা সহ বেঞ্চসহকারীকে দিয়ে মোয়াক্কেলের জবানবন্দি সহ স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। ফলে সংশ্লিষ্ট মামলার নিযুক্তীয় কৌশুলী সহ আইনজীবীরা বিক্ষুব্দ হয়ে মঙ্গলবার (১৫ মে) সকালে এক জরুরী সভায় মিলিত হন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আ: সালাম, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট আ: বাশার, অ্যাডভোকেট গোলাম মর্তুজা, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, অ্যাডভোকেট নূর হোসেন খান, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দীন তালুকদার, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, অ্যাডভোকেট আ: সত্তার, অ্যাডভোকেট শংকর চন্দ্র রায়, চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যান সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দীন প্রমূখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় সহকারী জজ কামাল খানের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত সহকারী জজ আদালতে প্রাকটিসরত আইনজীবীরা আদালত বর্জন অব্যাহত রাখবেন এবং এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের রেজুলেশন জেলা আইনজীবী সমিতিতে প্রেরন করবেন।
আইনজীবী সূত্রটি আরও জানায়, জরুরী সভার সিদ্ধান্তের পর কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী সহকারী জজ কামাল খানের কাছে সমঝোতার জন্য গেলে তিনি আইনজীবীদের ছাড়াই আদালত পরিচালনার দম্ভোক্তি করায় আইনজীবীরা সহকারী জজ কামাল খানের অপসারনের দাবীতে অনির্দিষ্ট কালের আদালত বর্জন কর্মসূচী শুরু করে।