কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেপুর গ্রামে নদীতীরসহ খাস জমি দখল চলছে ফ্রি-স্টাইলে। সরকারি খাস জমি দখল করে তোলা হচ্ছে বসত ভিটা। রক্ষা পাচ্ছে না নদী, পাউবোসহ ও বন্দোবস্ত দেয়া জমি। একদিকে প্রশাসন সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করতে মাইকিং করেছে। অপরদিকে দখলবাজচক্র কোন কিছুর তোয়াক্কা করছেনা। নদী দখলমুক্ত ও বন্দোবস্তু দেয়া জমি রক্ষায় প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন মেহেরপুর গ্রামের ভূক্তভোগী মো. শফি হাওলাদার। জানা গেছে, ডালবুগঞ্জ মৌজার ২৯ নং জেএল এর ২৬১ নং দাগ থেকে শফি হাওলাদারের বাবা সেকান্দার আলী হাওলাদারের নামে বন্দোবস্ত পাওয়া জমিসহ নদী ও পাউবোর জমি দখল করে বসত ভিটার জন্য দখল কাজ চালাচ্ছে মহিউদ্দিন ও তার ভাই হিরু হাওলাদার। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে দখলকাজ বন্ধ হয়। কিন্তু অভিযোগকারী শফি হাওলাদার তার জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না এই দখলবাজচক্রের কারনে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মহিপুর ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝখান থেকে বয়ে যাওয়া কাটাভারানি শাখা নদীর ডালবুগঞ্জের মেহেরপুর গ্রাম সংলগ্ন নদীর চর দখল করা হচ্ছে। দখলবাজদের তান্ডবে ওই নদীর পানি চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, মুখশা দাবী করে যেখানে ঘর তোলার জন্য খাল দখল করছে তার কাছাকাছি হিরু হাওলাদার ও মহিউদ্দিনদের কোন জমি নাই। নদীর তীরসহ খাসজমি দখলের তান্ডব শুরু করেছে এচক্র। ইউপি সদস্য মো. বাবুল গাজী জানান, হিরু হাওলাদার ও মহিউদ্দিন হাওলাদার তাদের বাপ দাদার জমির মুখশা দাবী করে নদীর চর দখল করা ঠিক হয় নাই। অভিযুক্ত হিরু হাওলাদারের ভাই মহিউদ্দিন বলেন, আমার বাবার জমির মুখশা হিসাবে আমার ভাই হিরু হাওলাদার ঘর তোলার জন্য মাটির কাজ করছে। তাছাড়া এই জমি সরকারী হোক আর যারই হোক কারো কাছে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নাই বলেও দাবি মহিউদ্দিনের। অভিযুক্ত হিরু হাওলাদার বলেন, আমাগো থাহার কোনো জায়গা নাই। আমরা কেউর জমি দহল করি নাই, সরকারী জমিতে ঘর উডাইতেছি। এই জমি আমাগো বাপ দাদার জমির মুখশা। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর রহমান জানান, সরকারি জমি দখল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.