দর্পণ ডেস্ক : অবশেষে সমালোচকদের হয়ে ক্ষমা চাইলেন দিলীপ ঘোষ। গো-মাতার অসম্মানের ফলেই মনোকষ্টে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর তাই সটান মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের গো-শালায় গিয়ে হাজির হন তিনি। অনেকক্ষণ ধরে গো-সেবাও করেন পদ্মশিবিরের এই হেভিওয়েট নেতা। ফেসবুকে একটি পোস্টে গো-মাতার কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
বিশাল গোশালায় অনেকক্ষণ ধরে ঘুরে বেড়ান তিনি। আদর করে, গলায়-মাথায় হাত বুলিয়ে গরুদের খাওয়ান তিনি। গো-মাতারাও তাকে ফেরাননি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির হাত থেকে খাবার খেয়ে তৃপ্ত গো-কূল ‘হাম্বা’ ডেকে তারা যে বেশ খুশি তাও বুঝিয়ে দেয়।
গোশালা দর্শনের সেই ছবি-ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই পোস্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে গোমাতার উদ্দেশে একটি বার্তাও লিখেন তিনি। ফেসবুকে এই ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি লেখেন, “যারা গোমাতার প্রশংসা সহ্য করতে পারেন না, তাদের যেন গোমাতা ক্ষমা করে দেন। গোমাতার জয় হোক।” পাল্টা আক্রমণ নয় সমালোচকদের বরং ক্ষমার বাণীই শুনিয়েছেন গোভক্ত দিলীপবাবু।
প্রসঙ্গত এই ঘটনার সূত্রপাত বর্ধমানে দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের এক সভায়। এই সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন ‘গরুর দুধে সোনা থাকে তাই দুধের রঙ হলদে হয়। দেশি গরুর কুঁজে তৈরি হয় সোনা।’ গরুর দুধে কী ভাবে সোনা তৈরি হয়, তার ব্যাখ্যাও দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গরুর কুঁজে স্বর্ণনালি থাকে। তাতে সূর্যের আলো পড়লে সোনা তৈরি হয়।’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে।
গরুকে নিয়ে এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় হাসি মশকরা। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একের পর এক ‘মিম’ আছড়ে পড়তে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এতেই ভীষণ ব্যথিত দিলীপ ঘোষ গো-মাতার থেকে ক্ষমা চাইলেন।