দর্পণ ডেস্ক : ঝাঁ চকচকে ডিজাইন, নিমেষে হাজার হাজার প্রোডাকশন, কারিগরি দক্ষতা তারিখ করার মতো— অ্যাডিডাসের রোবটচালিত জুতো কারখানা স্পিড ফ্যাক্টরিতে এবার তালা পড়তে চলেছে। রোবট নয়, জুতো বানাতে অ্যাডিডাসের ভরসা এখন মানুষই।

জার্মানির আনসবাখ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার স্পিড ফ্যাক্টরি আগামী বছর এপ্রিলের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। এশিয়াতে আরও দু’টি এমন স্পিডফ্যাক্টরি রয়েছে। একটি চিনে, অন্যটি ভিয়েতনামে। সে দুটিও বন্ধ হতে বসেছে।

২০১৬ সালে জার্মানির আনসবাখে প্রথম যখন স্পোর্টস শু তৈরির ফ্যাক্টরিতে মানুষের বদলে রোবট নিয়োগ করা হয়, তখন সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্বে। সংস্থার প্রোডাকশন বেড়েছিল অনেক। অ্যাডিডাস জানিয়েছিল, অ্যাথলেটদের মনের মতো আরামদায়ক জুতো বানাবে রোবট। সেগুলি টিকবেও বহুদিন। সংস্থার লাভের অঙ্কও হয়েছিল আকাশছোঁয়া। পরে ২০১৭ সালে আটলান্টাতে একই রকম রোবটচালিত স্পিডফ্যাক্টরি খোলে অ্যাডিডাস। সেখানেও প্রোডাকশন ছিল দেখার মতো। যন্ত্রচালিত কারখানার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

তাহলে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কেন? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রোবটচালিত কারখানা পরিচালনার খরচ অনেক। ফি বছর প্রতিটি রোবটের আপডেট, মডিফিকেশন, রোবোটিক আর্মসের বদলে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। এই রোবটের তৈরি জুতোর দামও তাই অনেক বেশি। বহু মানুষই এই মূল্যে জুতো কিনতে অক্ষম। অ্যাডিডাস জানিয়েছে, এশিয়ার দুটো বিপণনিতে চলতি বছরে কর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি।

গত বছর ‘ক্লিন ক্লোদস ক্যাম্পেন (CCC)’-এর রিপোর্ট বলেছিল, অ্যাডিডাসের ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের শাখায় লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। তা ছাড়া ডিজাইনেও বৈচিত্র্য আনতে চাইছে সংস্থা। মানুষের কারিগরি দক্ষতার উপরই এখন ভরসা রাখতে চাইছে অ্যাডিডাস।