দর্পণ ডেস্ক : ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে মধ্য-পশ্চিম ইউনাইটেড স্টেটসের রাজ্য ইন্ডিয়ানাতে। গলায় পেল্লাই পাইথন পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হলো মহিলার দেহ। এখানেই শেষ নয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও ১৪০টি সাপ। মৃতের নাম লরা হার্স্ট। বয়স ৩৬ বছর।

জানা গেছে, ওই মহিলার গলায় প্রায় ৮ ফুটের (২.৪ মিটার) একটা পাইথন পেঁচানো অবস্থা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কেউ ওই পাইথন গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মহিলাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে মৃতদেহ। রিপোর্ট হাতে পেলেই মহিলার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা এও জানিয়েছে যে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় মহিলার গলা থেকে পেঁচানো সাপ খুলে বের করতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছিলেন বনকর্মীরা।

যে বাড়িতে লরা থাকতেন সেই বাড়ির মালিকের ছিল সাপ পোষার শখ। সাপের কালেকশনের মধ্যে রাখা ছিল লরার নিজস্বে সংগ্রহও। প্রায় ২০টি সাপ নিজে পুষেছিলেন লরা। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ধন্দে রয়েছে পুলিশ। গলায় সাপ পেঁচিয়ে কেউ লরাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল নাকি এটা নিছকই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। বাড়ির মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এছাড়াও লরা এবং তাঁর সাপ পোষার শখের ব্যাপারে আরও নতুন তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

লরার দেহ উদ্ধারের সময় জ্যান্ত ছিল ওই সুবিশাল পাইথন। তার জাল থেকে উদ্ধার করে মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা চেষ্টাও করেছিলেন লরাকে বাঁচিয়ে তোলার। তবে এ যাত্রায় শেষ রক্ষ হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এবং চিকিৎসক দু’পক্ষেরই অনুমান অত বড় সাপ গলায় পেঁচিয়ে যাওয়ার ফলেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। তাঁদের অনুমান, হয়ত সাপ নিয়ে কিছু করতে গিয়ে নিজেই এই বিপদ ঘটিয়েছেন লরা। অসাবধানে ঘটে গিয়েছে এই মারাত্মক ঘটনা। যার জেরে অকালে মরতে হয়েছে লরাকে।

নেট দুনিয়ায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আটকে উঠেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন, “দুনিয়ায় এত পোষ্য থাকতে সাপ পোষার কী দরকার! যার থেকে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে তেমন জিনিস বাড়িতে রাখার শখই কাল হয়ে দাঁড়ালো লরার জীবনে।”