কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মেধাবী ছাত্রী স্মিতা কর্মকার ফরিদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। স্মিতা উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমার বাজারের ব্যবসায়ী সন্তোষ কর্মকার মেয়ে।

স্মিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সে শৈশব থেকেই লেখাপড়ায় প্রচুর মনোযোগী। পাখিমারা পি.ভি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি তে জি পি এ-৫ পায়। এরপর কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ এস সি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সর্বোচ্চ জি পিএ-৫ পেয়ে উত্তির্ন হয়।

মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর পিতা সন্তোষ কর্মকার জানান, তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে সুস্মিতা কর্মকার এমবিএতে পড়াশুনা করছে। আর স্মিতা এ বছর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে বেশ কৃতিত্বের সাথেই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। ছোট ছেলে সৌরভ কর্মকার এ বছর এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করেছে।

তবে স্মিতা’র লেখাপড়ায় কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজর শিক্ষকদের আপ্রান চেষ্টা ছিল বলে তিনি জানান।

কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে’র অধ্যক্ষ আবু ছাইদ জানান, স্মিতা কর্মকার খুবই মেধাবী ছাত্রী। সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই আশা করছেন তিনি।

স্মিতা একজন ভালো চিকিৎসক হতে চান। সে সকলের আশীর্বাদ চেয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। এদের মধ্যে মেয়ে ২৬ হাজার ৫৩১ জন, আর ছেলে ২২ হাজার ৮৮২ জন। চলতি বছরের এমবিবিএস পরীক্ষায় ৯০.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন একজন ছেলে। মেয়েদের মধ্যে যিনি প্রথম হয়েছেন, তাঁর নম্বর ৮৯.৬৭।
১১ অক্টোবর সারা দেশে একযোগে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ জন।
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হবে ২২ অক্টোবর, আর শেষ হবে ৩১ অক্টোবর। সরকারি মেডিকেলে ভর্তি শেষ হওয়ার পর বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে ভর্তি শুরু হবে।