দর্পণ ডেস্ক : গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। গায়ানার ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে হওয়া ম্যাচে বার্বাডোজ জিতেছে ২৭ রানে।

অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছিল গায়ানা। টানা ১১ জয়ের মাঝে তারা বার্বাডোজকে হারিয়েছিল তিনবার। ফাইনালের মঞ্চে সেই গায়ানাকে হারিয়ে বার্বাডোজ নিল প্রতিশোধ, করল শিরোপা উৎসব।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হলো বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। আর গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স সাত আসরের মধ্যে পাঁচবার ফাইনালে উঠে হারলো পাঁচবারই!

দ্বিতীয়বারের মতো সিপিএলে শিরোপার স্বাদ পেলেন সাকিবও। এর আগে ২০১৬ সালের আসরে এই গায়ানাকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাকিবের দল জ্যামাইকা তালওয়াশ। এছাড়া দুইবার আইপিএল ও একবার বিপিএল শিরোপার স্বাদও পেয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৭১ রান করেছিল বার্বাডোজ। জবাবে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের বেশি করতে পারেনি গায়ানা।

সাকিব বল হাতে ২ ওভারে খরচ করেন ১৮ রান। পাননি উইকেটের দেখা। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বলে একটি চারে ১৫ রান করে হন রান আউট।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বার্বাডোজকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন জনসন চার্লস (৩৯) ও অ্যালেক্স হেলস (২৮)। এ জুটি ভাঙার পর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। সাকিব দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় হন রান আউট।

শেষ দিকে ঝড় তোলেন জনাথন কার্টার। ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে কার্টার ও অ্যাশলে নার্স ৩১ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৩ রানের জুটি গড়েন। ২৭ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন কার্টার। ১৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন নার্স।

জবাবে গায়ানা শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। আগের ম্যাচে ঝোড়ো সেঞ্চুরি করা ব্রান্ডন কিং ছাড়া আর কেউ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন কিং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে কিমো পলের ব্যাট থেকে।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন কার্টার। নয় ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বার্বাডোজের লেগ স্পিনার হেইডেন ওয়ালশ।