দর্পণ ডেস্ক : আজ উদযাপন করা হচ্ছে লক্ষ্মীপূজা। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষে পরবর্তী প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে এই পূজা উদযাপন করা হয়।
শাস্ত্রমতে, লক্ষ্মীদেবী ধন-সম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিক), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। প্রাচীনকাল থেকেই রাজা-মহারাজা, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ পর্যন্ত সবাই এই দেবীর পূজা করে আসছেন।
এই পূজা কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তী’ থেকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে লক্ষ্মীদেবী ধন-ধান্যে ভরিয়ে দিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে পূজা গ্রহণ করতে আসেন। আর ধন-ধান্যের আশায় এই পূজার আয়োজন করা হয়।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মীদেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী হিসেবে পূজিত হন। ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রশ্ন করেন ‘কে জেগে আছো?’
কোজাগরী লক্ষীপূজার মধ্য দিয়েই দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বিদায়ের শোক ভুলে আবার আনন্দে মেতে উঠবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
আজ সারা দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে সকালে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হচ্ছে। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হচ্ছে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হবে। বিভিন্ন মন্দিরসহ ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজার বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে।