দর্পণ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের পর ৮ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন ।

মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খশরু, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মুহিবুল হক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে আসা প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট (ইওয়াই-১০০) সোমবার স্থানীয় সময় গত রাত ৮টায় আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।

আবুধাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে ঢাকার উদ্দেশে আবুধাবি ত্যাগ করেন। এ সময় আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি আবুধাবির উদ্দেশে নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রী গত ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গমন করেন।

শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইউএনজিএ’র ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

নিউইয়র্ককে তিনি সার্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজিজ), পররাষ্ট্র সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদক সমস্যা বিষয়ে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী দু’টি মর্যাদাবান বিশ্ব পুরস্কার পান। যুব সমাজের দক্ষতা উন্নয়ন এবং টিকাদান কর্মসূচির বিরাট সাফল্যের জন্য যথাক্রমে ইউনিসেফের ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ ও জিএভিআই-এর ‘ভ্যাকসিন হিরো’।

ইউএনজিএ’র পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উন্নয়নের জন্য অংশগ্রহণমূলক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল এডভোকেট ডাচ রানী ম্যাক্সিমা ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের বিল গেটসের সঙ্গেসহ বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেডিসেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের দেয়া একটি স্বাগত অভ্যর্থনায় যোগ দেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা এবং যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত একটি মধ্যাহ্নভোজ গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেন।