গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে
কেন্দ্র করে হত্যাকান্ড সংগঠিত হওয়ায় যুবলীগ সভাপতি সহ ৩৪ জনের নাম
উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামী করে কলাপাড়া থানায় একটি হত্যা
মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার মো. আব্বাস হাওলাদারের স্ত্রী
মোসা. ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার
প্রধান আসামী কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. শামিম
খলিফা (৪০) ও তার ছোট ভাই মিলন খলিফা (৩৫) কে শুক্রবার রাতে বরিশাল থেকে
আটক করেছে। এর আগে আরো ৮ আসামীকে কলাপাড়ার বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা
হয়।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, হামলাকারীরা রাত সাড়ে ৪ টার দিকে সলিমপুর
গ্রামে রশিদ খলিফার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের তিনটি বসত ঘর, একটি
মুরগীর ঘর ও টয়লেট ভাংচুর করে। এসময় বাড়ীতে থাকা গাছপালা কেটে ও ভাঙচুর
করে অন্তত: তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। হামলার সময় তাদের
পরিবারের লোকজনদের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে
হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার পর পুলিশ ওই এলাকা থেকে ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। পরে অভিযান
চালিয়ে আরো ৪ জন সহ মোট ১০ জন আসামীকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাপাড়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. আবুল
হোসেন জানান, অন্যান্য আসামীদের গেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে উপজেলার নীলগঞ্জ
ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের মোছলেম আলী খলিফা ও তার ভাই রশিদ খলিফা গ্রুপের
সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪ টার দিকে
মোসলেম খলিফা গ্রুপের লোকজন রশিদ খলিফার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক
ভাংচুর সহ অন্তত: ৮ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এতে আব্বাস হাওলাদার সহ আহত
অন্যান্যদের আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্বাস
হাওলাদার মারা যান।