গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারের খাদ্যবান্ধব
কর্মসূচী নিয়ে কোন ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর হস্তে দমনের হুশিয়ারী দিলেন
উপজেলা প্রশাসন। কলাপাড়া ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ কুমার দাশ স্থানীয়
গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে সোমবার এ কথা বলেন। এরআগে ভিজিএফ
কেলেংকারীর সাথে জড়িয়ে পড়ায় একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে আটক করে
মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।

জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি
করে চাল পাচ্ছেন উপজেলার ২০ হাজার ১৫৩ দরিদ্র পরিবার। সেপ্টেম্বর মাস
থেেক নভেম্বর র্পযন্ত তিন মাস এ চাল পাবেন তারা। ইতোমধ্যে কলাপাড়ার ৩২ জন
নিযুক্ত ডিলার খাদ্যগুদাম থেেক চাল উত্তোলন করেছেন। সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ ও
বৃহস্পতিবার তিন দিন এ চাল বিতরনের কথা। কার্ডধারী প্রত্যেক পরিবার পাবেন সর্বোচ্চ ৩০ কেজি চাল।

গ্রামে বসবাসরত হতদিরদ্র ভূমিহীন, কৃষি শ্রমিক,
দিনমজুর, উপার্জনে অক্ষম, বিধবা, তালাক প্রাপ্তা, স্বামী পরিত্যাক্তা,
অস্বচ্ছল বয়স্ক নারী প্রধান পরিবার এবং যে সব দুঃস্থ পরিবারে শিশু বা
প্িরতবন্ধী রয়েছে তারা এ তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন। এমন নির্দেশনার আলোকে
তালিকা তৈরী করে র্কাডধারী পরিবার ১০টাকা কেজি দরে মাসে একবার ৩০ কেজি
করে চাল ক্রয়ের সুযোগ পাবেন। কলাপাড়ার ১২টি ইউনয়িনে এমন র্কাডধারী
হতদরিদ্র ২০ হাজার ১৫৩ পরিবার মঙ্গলবার থেকে টানা তিন মাস এ চাল পাবেন।
প্রত্যেক ডিলারের দোকানে র্কাডধারীদের নামের তালিকা টানানোর নির্দেশনা
রয়েছে।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগন এসব তালিকায়
কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ পরিবারের নাম রেখেছেন যারা সম্পদশালী, স্বচ্ছল,
দুঃস্থ কিংবা হতদরিদ্র নয়। এমনকি চাকুরীজীবীদের নাম রয়েছে এ তালিকায়। একই
পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে এ তালিকায়। তাই এ তালিকা যাচাই বাছাই
প্রয়োজন। এছাড়া এর আগে ডিলাররা চাল তুলে তদারকি র্কমর্কতার অনুপস্থিতিতে
নিজেদের খেয়াল খুশি মতো চাল বিতরন করেছে। কেউ কেউ আবার এক চর্তুথাংশ চাল
না তুলে খোলা বাজারে বিক্রী করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে দুঃস্থ মানুষরা
সরকাররে মহতী উদ্দোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।  তাই প্রত্যেক ডিলারের দোকানে
তালিকা টানিয়ে রাখা সহ তদারকি র্কমর্কতার উপস্থিতিতে আগে স্টক
যাচাই-বাছাই করে তারপরে চাল বিতরণ র্কাযক্রম শুরুর দাবী সাধারণ মানুেষর।

কলাপাড়া ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) অনুপ কুমার দাশ জানান, সরকারের
খাদ্যবান্ধব র্কমসূচী নিয়ে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।