দর্পণ ডেস্ক : ৩১ আগস্ট মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবস। ৬১ বছর পেরিয়ে ৬২ বছরে পা রাখছে দেশটি।এবারের ৬২তম স্বাধীনতা দিবসে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একত্রে আনুষ্ঠানিক বন্দুক স্যালুট দেবে।
স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপনে দেশটিতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জাতীয় এই দিবস উদযাপনে সরকার ছাড়াও সাধারণ জনগণের মধ্যেও বিভিন্ন প্রস্তুতি লক্ষণীয়।
পুত্রজায়া কর্পোরেশন (পিপিজে) এ তথ্য জানিয়েছে। পিপিজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ২৯ আগস্ট জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজের পূর্ণ মহড়া এবং ৩১ আগস্ট জাতীয় দিবসের প্যারেডে বন্দুকের স্যালুট হবে।
সায়ঙ্গি মালয়েশিয়াকু: মালয়েশিয়া বেরশিহ প্রতিপাদ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পিপিজে জানিয়েছে, পুত্রযায়ার তুয়ানকু মিজান জয়নাল আবিদ মসজিদের সামনের প্রিসিন্ট ৩ এর পার্কিং লটে কামানগুলি নিক্ষেপ করা হবে। পুরো রিহার্সাল চলাকালীন দুটি শট গুলি চালানো হবে এবং সকাল আটটায় মূল অনুষ্ঠানে (৩১ আগস্ট) ১৪ টি রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে।
ফেডারেল প্রশাসনিক রাজধানীতে (পুত্রযায়া) জাতীয় দিবস উদযাপনের সাথে মিল রেখে কয়েকটি জায়গা এবং রাস্তা অস্থায়ীভাবে ২০ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। ২০ থেকে ৩০ আগস্ট প্রশিক্ষণ অধিবেশন ও মহড়া পরিচালনা করার জন্য দাতরান পুত্রযায়া, পার্সিয়ান পারদানা এবং প্রিসিঙ্কটস ২, ৩ এবং ৪ সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
একইসাথে, ৩০ আগস্ট পুত্রজায়া প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির সুবিধার্থে সন্ধ্যা ৭ টা হতে পরের দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার এ দিবস স্থানীয় ভাষায় ‘হারি মারদেকা’ নামে পরিচিত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে মালয়েশিয়া। ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্থায়ী ভাবে স্বাধীনতা লাভের পর ওই সালেই ৩১ আগস্ট সকাল ৯:৩০ মিনিটে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। মালয়েশিয়ার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী টুঙ্কু আবদুল রহমান মারদেকা স্টেডিয়ামে ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন। সে সময় মালয় রুলার্স, ফেডারেল সরকারের সদস্য এবং বিদেশি বিশিষ্টজন সহ কয়েক হাজার মানুষের উপস্থতিতে তিনি ঘোষণা পত্র পাঠ করেছিলেন।