লিটন হোসেন লিমন, নাটোর প্রতিনিধি :
মাতৃদগ্ধ পান সপ্তাহ উপলক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নাটোরের গুরুদাসপুরে র‌্যালী, শিশু মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুরাতন কোর্ট ভবন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে ওই চত্বরে তিনদিনব্যাপী শিশু মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। এ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর উদ্বুদ্ধকরনের লক্ষ্যে প্রচারণামূলক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। তিনি মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বুকের দুধ খাওয়ানোর ওপর জোড় দিয়ে বলেন, শিশুদের মুখে ফিডার তুলে দেয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। মায়ের দুধই কেবল শিশুকে সুস্থ্য ও সবল রাখতে পারে। বিশেষ অতিথির বক্তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন শিশুর জন্মের পর মায়ের বুকের শাল দুধ খাওয়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তাতে করে সন্তানের সাথে প্রথম থেকেই একটা আত্মিক সম্পর্ক্য গড়ে ওঠে। নিজের স্বাস্থ্য ধরে রাখতে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াতে চান না কিন্তু এতে শিশুদের মেধা বিকাশ থেকে শুরু করে সব ধরণের বিকাশে বাধাগ্রস্থ্য হয়। বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিজের সৌদর্য্য ধরে রাখতে শিশুর সৌদর্য্য নষ্ট করা হচ্ছে।

নিজের শিশুর সৌদর্য্য চেয়ে একজন মায়ের আর কি চাওয়া থাকতে পারে। তিনি বলন, দ্ইু বছর পর্যন্ত শিশুদের মায়ের দুধ খাওযানোর জন্য এখন ডাক্তাররা গুরুত্ব দেন কিন্তু অনেক আগেই তা পবিত্র কোরান শরিফে উল্লেখ করা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলাল শেখ ও শাহিদা আক্তার মিতা এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা সামিউল আলম।

এর আগে একই কর্মসুচির আওতায় শনিবার রাতে গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বেতারের বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলেচনা সভা শেষে এতে বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত শিল্পী এবং ক্লোজ-আপ ওয়ান তারকা মুহিন ও পলাশ, মৌসুমী, শ্রাবণী ও শেফালী সারগামসহ বেশ কিছু শিল্পী সঙ্গিত পরিবেশন করেন। গভীর রাত পর্যন্ত ওই সব তারকা শিল্পীরা প্রায় দশ হাজার মানুষকে মাতিয়ে রাখেন।