গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঈদের বিশেষ ভিজিএফ’র চাল
চুরি ও আত্মসাৎ চেষ্টার কৃত্রিম ঘটনা সাজিয়ে চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান
মো: হুমায়ুন কবির কেরামতকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের
সদস্যরা। শুক্রবার বেলা ১১টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের
সামনে সংবাদ সম্মেলনে এমন লিখিত বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান’র পুত্র
হাসিবুল হাসান।

লিখিত বক্তব্যে হাসিবুল জানান, ’৭ আগষ্ট ২০১৯ চাকামইয়ার পুরাতন ইউনিয়ন
পরিষদের সামনে ভিজিএফ’র চাল বিতরন করার সময় জনৈক আজিজুল হক বুদাই ট্যাগ
অফিসারের কাছে স্লিপ না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এসময় সুষ্ঠু ভাবে চাল বিতরন
করা হলেও বুদাই চাল বিতরনে নিয়োজিত ইউপি সদস্যদের সাথে উত্তেজিত হয়ে কথা
কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইউএনওকে ফোন করার পর তিঁনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
কথিত অভিযান পরিচালনা করেন। ইউএনও ঘটনাস্থলে এসে জামাল হাওলাদারের গলা
চেপে ধরে দেয়ালের সাথে ধাক্কা দেয় এবং নুর সাইদ হাওলাদারকে লাঠি দিয়ে
উপর্যুপরি আঘাত করে। ইউএনও’র এমন আচরনে উপস্থিত সকলের মধ্যে ভীতি সঞ্চার
করে। অথচ উদ্ধারকৃত চাল চুরি বা আত্মসাত করা কোন চাল নয়। দুই দিন পূর্বে
ভিজিডি মৎস্য কার্ডের মাধ্যমে জামাল ও নুর সাইদ ওই চাল প্রাপ্ত হন।’

সংবাদ সম্মেলনে হাসিবুল আরও বলেন, ’আমার পিতা চাকামইয়া ইউনিয়ন আ’লীগ
সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান। আলোচিত বুদাই আমার পিতার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ
মকবুল দফাদার, আমির হোসেন মাষ্টার এবং এদের নেপথ্যে থাকা উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। কারন উপজেলা নির্বাচনে আমার
পিতা স্বতন্দ্র প্রার্থী আমার মামা সৈয়দ আকতারুজ্জামান কোক্কা’র পক্ষ
করায় এ ঘটনা সাজানো হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন কেরামত’র কন্যা স্নিগ্ধা আকতার, সৈয়দ আকতারুজ্জামান কোক্কা, লাইজু
হেলেন লাকী সহ ইউনিয়নের অর্ধ-শতাধিক মানুষ।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া ইউএনও মো: মুনিবুর রহমান বলেন, ’ভিজিএফ চাল বিতরনের
মাষ্টার রোল সম্পন্ন হওয়ার পর চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত চালের
বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। চাল নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি এখানে স্পষ্ট।
গলা চেপে ধরা ও লাঠি পেটা করার ঘটনা মিথ্যা এবং বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেয়ার
কৌশল বলে মন্তব্য করেন তিঁনি।’