দর্পণ ডেস্ক : শেষ ম্যাচেও কোনো প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলো না বাংলাদেশ। না বোলিংয়ে না ব্যাটিংয়ে দুই বিভাগেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে এক প্রকার পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ। ফলাফল তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। কলম্বোর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১২২ রানে। বড় হারে লজ্জায় শেষ হলো বাংলাদেশের লঙ্কা মিশন।

সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল কলম্বোর আগের ম্যাচেই। তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা চোখ রাঙাচ্ছিল। বুধবারের ম্যাচে হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে শেষটা অন্তত জয় দিয়ে রাঙিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ ছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু ব্যর্থতার একই দৃশ্য মিললো।
সাদামাটা বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করলো ২৯৪ রান।

২৯৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩৬ ওভারেই অলআউট ১৭২ রানে।
এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জায় ডুবলো তামিমরা। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরেও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে ২০১৪ সালের পর আবার শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো তাদের।

শ্রীলঙ্কা সফরে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে অনন্য ছিলেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা এই ব্যাটসম্যান এবার ব্যর্থ। ১৫ বলে মাত্র ১০ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরলে আরও চাপে পড়ে সফরকারীরা। সেটা আরও বাড়ে মোহাম্মদ মিঠুনের (৪) পর মাহমুদুল্লাহ (৯) ব্যর্থতার মিছিল চালু থাকলে। ৮৩ রান তুললে বাংলাদেশের নেই তখন ৫ উইকেট!

কঠিন ওই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আর সম্ভব হয়নি। ৭ রান করে সাব্বির রহমানের আউটের পর মেহেদী হাসান মিরাজ ৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলে একরকম শেষই হয়ে যায় বাংলাদেশের আশা। ওয়ান ডাউনে নামা সৌম্যের ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংসটা কেবল আক্ষেপই বাড়িয়েছে। একপ্রান্ত আগলে রেখে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে বোল্ড আউট হওয়ার আগে ৮৬ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। তাইজুল ২৮ বলে খেলেছেন তিনি ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস।
শেষ দিকে তাইজুল লড়াই করলেও হোয়াইটওয়াশ এড়ানো যায়নি।