বরগুনায় বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাদেরকে জেলহাজতে রাখা হয়েছিল।

মামলার দিন ধার্য থাকায় বুধবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে ১৪ আসামিকে হাজির করা হয়। আদালতে কার্যক্রম শেষে সব অভিযুক্তকে আবার জেলহাজতে পাঠানো হয়।

রিফাত হত্যার প্রধান সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে অপর আসামিদের ন্যায় আজ আদালতে হাজির করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কিসলু বলেন, মামলার দিন ধার্য থাকায় রিফাত হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ১৫ অভিযুক্তের মধ্যে ১৪ অভিযুক্তকে আজ সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলার রাতুল নামের এক অভিযুক্ত কিশোর হওয়ায় তাকে হাজির করা হয়নি। সে বরিশালের একটি শিশু কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেফতার হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া শেষে জেল হাজতে থাকা সাইমুন ও শ্রাবনের জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

এছাড়া সাইমুনের আগামী সাত তারিখ থেকে অনার্স পরীক্ষা শুরু হবে। তাই তিনি যেন কারা কর্তৃপক্ষের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, এজন্য আদালতে একটি আবেদন করা হয়। পরে আদালতে এ আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।