দর্পণ ডেস্ক : পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূল সেতুর ৮১ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে পিছিয়ে রয়েছে প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ। এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি মাত্র ৫৯ ভাগ।
রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়।
কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, হাসিবুর রহমান স্বপন, আবু জাহির, রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, ছলিম উদ্দীন তরফদার, শেখ সালাহউদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন এবং রাবেয়া আলীম।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রতিবেদন নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তবে কমিটির আগের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর সদস্যরা চলমান সংসদ অধিবেশন শেষে সরেজমিন সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত সেতুর ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৫৬টি এবং ৪২টি পিয়ার কলামের মধ্যে ২৯টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৩০ জুন ১৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ২ দশমিক ১ কিলোমিটার সেতু দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৭১ ভাগ।
উড়াল সেতুর কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে : মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানানো হয়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত নির্মাণাধীন উড়ালসেতুর কাজ ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ শেষ হবে। এ সংক্রান্ত অগ্রগতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়াল সেতুর ১৪৭টি স্প্যানে আই গার্ডার বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার বলেন, সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ, বিশেষ করে পদ্মা সেতু ও উড়াল সেতুর কাজ যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়, সে বিষয়ের ওপর জোর দিতে কমিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে।
এদিকে প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ওই বৈঠকে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর বা ২০২১ সালের এপ্রিলে সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব বলে সচিব আশা করেন।
এদিকে, সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআরটিসির সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু বিভাগের আওতাধীন চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অবস্থা ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটি বিআরটিসির ডিপো ম্যানেজারদের দায়িত্ব পালনে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে।