দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছেন। সবাই অবশ্য একসঙ্গে ফেরেননি। সবাই দেশেও ফেরেননি। তবে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি ফিরেছেন। তার সঙ্গে আছেন কোচিং স্টাফদের কয়েকজনও।
দেশে এসে তিনি দলের সেমিফাইনালে উঠতে না পারা। কিংবা জয়ের কাছে গিয়ে কিছু ম্যাচ হারের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।

বিমানবন্দরে নেমে মাশরাফি বলেন, ‘যে প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলাম সেই জায়গা থেকে আমরা হতাশ। তবে আমরা যেভাবে বিশ্বকাপে খেলেছি সেটা ভালো দিক বলে মনে করছি। বেশ কিছু ম্যাচে যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করা বিষয়গুলো আমাদের পক্ষে থাকলে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারতাম। তবে আমাদের খেলার ধরন ভালো ছিল।’

সেমিফাইনালের আশার কথা বলতে গিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত ম্যাচ পর্যন্ত কাগজে-কলমে আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ ছিল। সাকিব-মুশফিক কিংবা মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনরা ছাড়া অন্যরা ধারাবাহিক ছিল না। বিশ্বকাপের মধ্যে বৃষ্টিতে বেশ কিছু ম্যাচ ভেসে গেছে। আমাদের মতো, অন্য দলেরও তাতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এছাড়া ভাগ্যও আমাদের পক্ষে ছিল না।’

তিনি ‘অধিনায়ক হিসেব দায়িত্ব নিতে হতো। ভালো খেলা উচিত ছিল। দল সেমিফাইনালে যেতে না পারায় কিংবা প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো না খেলায় দায়ভার অধিনায়ক হিসেবে আমার।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পয়েন্ট টেবিলে আটে থেকে শেষ করেছে। বাংলাদেশ যদি শেষ ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারতো তবে পাঁচে থেকে শেষ করার সুযোগ ছিল। এ নিয়ে মাশরাফি জানান, বিশ্বকাপের আসর। তাদের লক্ষ্য ছিল শেষ চারে ওঠা। সেমিতে যেতে না পারলে এই ধরণের টুর্নামেন্টে আসলে পয়েন্ট টেবিল অর্থহীন হয়ে পড়ে।

প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন ভালো করেছেন। লিটন দাস দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। যদিও তিনি সেভাবে ধারাবাহিক ছিলেন না। এছাড়া সৌম্য সরকার দারুণ শুরু করেও দলকে হতাশ করে সাজঘরে ফেরেন। মাশরাফি মনে করছেন, অভিজ্ঞতা বাড়লে তারা আরও ভালো খেলবেন, ‘আমরা যখন তরুণ ছিলাম, তখন তাদের মতো এতটা ধারাবাহিক ছিলাম না। তারা ভবিষ্যতে আরও ধারাবাহিক হবে।’