ছবি-সংগৃহীত
পুরান ঢাকার ওয়ারীর বনগ্রাম থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
শিশুটির নাম আফরিন সায়মা (৮)। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। সালামের দুই ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা ওয়ারি সিলভারডেল স্কুলে নার্সারিতে পড়ত।
ওয়ারী থানার এসআই হারুনুর রশিদ জানান, শিশু সামিয়ার গলায় দাগ রয়েছে। এছাড়া ঠোঁটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, শুক্রবার রাতে একটি বহুতল ভবনের নয় তলার ফাঁকা ফ্ল্যাটে সায়মার মরদেহ পাওয়া যায়। ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকত।
নিহত সামিয়ার বাবা আবদুস সালাম বলেন, মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সামিয়া নেই। আমি ও আমার স্ত্রী তাকে খুঁজতে শুরু করি। পরে ৮ তলার রান্না ঘরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সামিয়া আফরিন সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নুরুল আমিন বলেন, সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সায়মা তার মাকে বলেছিল, সে উপরে পাশের ফ্ল্যাটের যাচ্ছে একটু খেলতে। সে প্রতিদিন বিকালে নিচে ও ভবনের উপরের ফ্ল্যাটে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে যেত। কিন্তু এদিন গিয়ে আর ফিরে আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ৯ তলায় খালি ফ্ল্যাটের ভেতরে গলায় রশি দিয়ে মুখ বাঁধা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় পরিবার।
এই ঘটনায় ৬ জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।