দর্পণ ডেস্ক : নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া, নন-প্রোলিফারেশন অফ নিউক্লিয়ার উইপনসের (এনপিটি) চুক্তিতে যে সব দেশ স্বাক্ষর করেনি পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে (এনএসজি) তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না, শুক্রবার এমনটাই জানাল চীন।
২০১৬-এর মে মাসে পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে (এনএসজি) অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করে ভারত। তারপর থেকেই চীন বলে আসছে, যে সব দেশ, নন-প্রোলিফারেশন অফ নিউক্লিয়ার উইপনসের (এনপিটি) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, একমাত্র তাদেরই পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই গোষ্ঠীতে (এনএসজি) রয়েছে মোট ৪৮টি দেশ। নন-প্রোলিফারেশন অফ নিউক্লিয়ার উইপনসে স্বাক্ষর করেনি ভারত এবং পাকিস্তান। ২০১৬-এ পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করে পাকিস্তানও।
জুনের ২০-২১ কাজাখস্তানের আস্তানায় প্লেনারি বৈঠক হয়, সেখানে প্রশ্ন করা হয়, পরমাণু শক্তি সরবাহ গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চীনের অবস্থান পাল্টেছে কিনা, তার উত্তরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং সংবাদমাধ্যমে বলেন, “উপযুক্ত পরিকল্পনায় পৌঁছানো” ছাড়া যে সব দেশ এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তাদের নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, “ভারতের অন্তর্ভু্ক্তি নিয়ে কোনও আলোচনা নয়”, পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে একমত হওয়ার সময়সীমাও জানাননি তিনি। তাদের তরফে বলা হয়েছে, বেজিং ভারতের অন্তর্ভুক্তি আটকে রাখেনি, শুধু চায় যাতে এনএসজি-এর (এনএসজি) নিয়ম এবং পদ্ধতি মানা হয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, “কোনও নির্দিষ্ট সদস্য আটকে রাখেনি। পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে, এবং নিয়মকানুন মেনেই সিদ্ধান্ত নেয় গ্রুপের সদস্যরা। আমি যতদূর জানি, প্লেনারি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে এবং এনপিটির সদস্য এমন দেশ এবং সে বিষয়ে রাজনৈতিক ও আইনি দিকগুলি নিয়ে আলোচনা হবে”।
তিনি আরও বলেন, “নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় পৌঁছানোর আগে, যে সব দেশ এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে (এনএসজি)। সুতরাং, ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কোনও আলোচনা নয়।”