দর্পণ ডেস্ক : পাকিস্তানকে কড়া সতর্কবার্তা দিল ফিন্সাসিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। তাদের মাটিতে কার্যকলাপ চালানো রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অক্টোবরের মধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে বলেছে তারা, নাহলে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় কূটনৈতিক মহলের ঊর্ধ্বতন সূত্র থেকে এমনটাই জানা গেছে।

বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানকে উদ্ধার করতে নেমেছে চীন, তবে তাদের দেওয়া চরম সতর্কবার্তার বিরোধিতা করেনি চীন। সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো এবং আর্থিক তছরূপের ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকায়’ রেখেছে তারা। যদি, পাকিস্তান ফিন্সাসিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স ঘোষিত কালো তালিকায় চলে যায়, তাহলে বিশ্বব্যাপী চরম চাপে পড়ে যাবে এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় চলে যাবে তারা।

একটি বিবৃতিতে এফএটিএফ বসেছে, ২০১৯-এর অক্টোবর মধ্যে তাদের সমস্ত অ্যাকশন প্ল্যান শেষ করার জন্য পাকিস্তানকে বলা হচ্ছে, শেষ অ্যাকশন প্ল্যান প্রায় শেষ হতে চলেছে। তারা আরও জানিয়েছে, নাহলে উপযুক্ত অগ্রগতি না হওয়ায় পরের পদক্ষেপ ঠিক করবে এফএটিএফ।

হাফিজ সইদ, মাসুদ আজাহারের মতো রাষ্ট্র সংঘ ঘোষিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছে ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলি।পাশাপাশি তারা উল্লেখ করেছে, জঙ্গি দমনে তাদের আইন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ঠিক করা আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন। এক পদস্থ আধিকারিক এনডিটিভিকে বলেন, ‘এটা গুরুত্বপূর্ণভাবে এফএটিএফ এবং রাষ্ট্রসংঘের ২৪৬২-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন,. যাতে জঙ্গিদের আর্থিক জোগানকে অপরাধ গণ্য করা হয়েছে। প্লেনারি সেশনে আমরা একাধিকবার বিষয়টি তুলেছি।’

অনেক এফএটিএফ সদস্যই বিষয়টি তুলেছে যে, রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত জঙ্গি, পাকিস্তানের নাগরিক হাফিজ সইদ, মাসুদ আজাহারের বিরুদ্ধে কোনও মামলা রুজু করা হয় নি।যদিও পাকিস্তানের তরপে দাবি করা হয়েছে, যে, লস্কর-ই-তৈয়বা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফাল্লাহ-ই-ইনসানিয়ৎ ফাইন্ডেশন, জইশ-ই-মহম্মদের প্রায় ৭০০ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারত এবং অন্যান্য এফএটিএফ সদস্যের বক্তব্য, বাজেয়াপ্ত করা প্রয়োজনীয় নির্দেশ পালনের মধ্যে পড়ে না।