দর্পণ ডেস্ক : শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতে সরকারের ভর্তুকি-প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও প্রণোদনা থাকবে। কৃষি ভুর্তকি, ঋণ ও কৃষিপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে প্রণোদনাও থাকবে।
তিনি জানান, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে এবারের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
২০২৩-২৪ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ ধরে সেভাবে সরকার কাজ করছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকা এবার প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করেছেন শেখ হাসিনা।
‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।
রীতি অনুযায়ী প্রতিবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ হওয়ায় এবার প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করছেন শেখ হাসিনা। এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর হয়ে বাজেটের বক্তৃতার একাংশ পড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।
কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রথম বাজেট বক্তব্যের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন অস্বস্তিতে। এরই এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাজেট বক্তৃতার বাকি অংশ পড়া শুরু করেন। তবে বাজেটের পুরো বক্তব্য পাঠ করা হয়নি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাকি অংশ পঠিত বলে গণ্য করার ঘোষণা দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদের অধিবেশনে অংশ নেন। পরে সংসদ থেকে বেরিয়ে আবার হাসপাতালে চলে যান। সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আগে দেশে ১২ জন বাজেট উপস্থাপন করেছেন। অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য পড়ে দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। সংসদের কার্যক্রমে যে কোনো মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা।