দর্পণ ডেস্ক : দেড় মাস ধরে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৩ মে (বৃহস্পতিবার)। নির্বাচন শেষে প্রকাশিত বুথফেরত জরিপগুলো গড় করে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন বিজেপি তিনশতাধিক আসন ও প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেস ১২২টির মতো আসন পেতে পারে। তবে বিরোধী দলগুলোর তরফে বলা হয়েছে, জরিপের এসব ফলাফল ভুল প্রমানিত হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ভোটার ভেরিফায়েড পেপার ট্রেইল মেশিন (ভিভিপিএটি) নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে কংগ্রেসসহ ভারতের ২১টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি। মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সাথে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তাদের। রবিবার শেষ দফার ভোটগ্রহণ শেষে বুথফেরত জরিপে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও মিত্রদের সহজ জয়ের সম্ভাব্যতা উঠে আসার পর বিরোধীরা এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের আশঙ্কা, ইভিএম কারসাজির মধ্য দিয়ে বিজয়ী হয়ে বিজেপি এই বুথফেরত জরিপকে উদাহরণ হিসেবে হাজির করতে পারে। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এমন উদ্বেগ থেকেই ফল প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বিরোধী দলগুলো।
সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা উচিত। আর ভিভিপিএটি থেকে ৫০ শতাংশ স্লিপ কেন কাজ করেনি সেই প্রশ্ন তোলা উচিত। আরেক বিরোধী দলীয় নেতা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে ইভিএম ব্যবহারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সব বিরোধী দলই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বেশিরভাগ বিরোধী দলই অভিযোগ তোলে বিজেপির পক্ষে ইভিএম কারসাজি হয়েছে। মায়াবতী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নেতারাও পুরনো ব্যালট পেপারে ভোট অনুষ্ঠানের দাবি তোলেন। ওই সময়ে বিরোধীদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে কমিশন বলেছিল, নির্বাচনে হেরে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএম-এর ওপর দায় চাপাচ্ছে।
ফল ঘোষণার আগে বিরোধীদের জোট গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হতে অস্বীকৃতি জানানো তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, সোমবার দলটির তরফে জানানো হয়েছে তাদের নেতা ডেরেক ও ব্রেইন প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে কমিশনে যাবেন।