দর্পণ ডেস্ক : গত বছর থেকে শুরু হওয়া উইমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ বা মিনি আইপিএলে এবারই প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের তারকা পেসার জাহানারা আলম। অভিষেকটা খুব একটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন ২৬ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি তারকা।
ফাইনালের মঞ্চে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝড়িয়েছেন তিনি। নিয়েছেন দুটি উইকেট; যার একটি ‘বেস্ট বল অব দ্য উইমেন্স আইপিএল’ নির্বাচিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে ২১ রানে ২ উইকেট নেন জাহানারা আলম। তবে ফাইনাল জেতা হয়নি জাহানারার ভেলোসিটির।
ম্যাচ শেষে জাহানারা বলেন, ‘পেস বোলার হিসেবে সেরা ডেলিভারিটি করতে পেরে আমি খুশি। আমি ডট বল নিতে চেয়েছি। উইকেট পেয়েছি। খেলার মোমেন্টাম চেঞ্জ করতে পেরেছি। যার কারণে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। চেষ্টা করেছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’
শনিবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে সুপারনোভার মুখোমুখি হয় জাহানারার দল ভেলোসিটি। গত বৃহস্পতিবার রাতে একই দলের বিপক্ষে ১২ রানে হার দেখেছিল ভেলোসিটি। সে ম্যাচে বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে ৩৪ রান খরচ করেন উইকেটশূন্য জাহানারা। আসরে অপর ম্যাচে ট্রায়ালব্লেজার্সের বিপক্ষে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভেলোসিটি। দুই রাউন্ড শেষে তিন দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক জয়ে সমান ২ পয়েন্ট। আর নেট রান গড়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় সুপারনোভা ও ভেলোসিটি।
শনিবার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে আসরে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন সুপারনোভার কিউই পেসার লিয়া তাহুহু এবং ভেলোসিটির বাংলাদেশি পেসার জাহানারা আলম।

ভেলোসিটির বাংলাদেশি তারকা জাহানারা আলম বলেন, ‘আমরা এখন তাদের (সুপারনোভা) শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে জানি। এখানে আগে কখনো খেলা হয়নি। তবে এবার এক ম্যাচ খেলায় তাদের শক্তির জায়গাটা আমার জানা হয়েছে। শিখা পান্ডের (ভারতীয় পেসার) সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। সে খুবই ভালো একজন মানুষ, আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। আমি তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। সে আমাকে বলেছে কীভাবে ভারতের ব্যাটারদের বিপক্ষে বল করা উচিত, কারণ সে নিজ দেশের ব্যাটারদের ভালো জানে। এছাড়া বিদেশি ব্যাটারদের ব্যাপারেও অনেক পরামর্শ দিয়েছে আমাকে। এখানে আসার আগে আমি অনেক শুনেছি যে জয়পুর খুব সুন্দর শহর, একে গোলাপি শহর বলা হয়। তবে কখনো সেভাবে ঘুরে দেখার সুযোগ হয়নি। আর টুর্নামেন্টের কথা বলতে গেলে আপাতত এটি প্রদর্শনীমূলক ম্যাচ। তবে আমরা সামনের দিকে চেয়ে আছি কারণ শিগগিরই এটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসরে রূপ নেবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নেয়া দারুণ এক পদক্ষেপ এটি। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’