দর্পণ ডেস্ক : এবারের রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের উর্ধ্বগতির লাগাম অনেকটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে সরকার। রোজার আগেই কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেলেও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে রাজধানীর বাজারে।
রোজার আগে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় গরুর মাংসের দাম। কোথাও কোথাও ৬০০ কেজি দরে বিক্রি হয় গরুর মাংস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দর বেধে দেয় সিটি কর্পোরেশন। ফলে নির্ধারিত ৫২৫ টাকা দরেই মাংস কিনতে পারছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বেগুন, কাঁচা মরিচ আর দেশী পেঁয়াজ কিছুটা বেড়ে গেলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ পণ্য।
মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষপে সন্তোষ জানিয়ে ক্রেতারা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে খুচরা বাজার পর্যন্ত পরিকল্পিত মনিটরিং করা হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
এদিকে, বিএসটিআই-এর পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামি-দামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের ভেজাল ও নিম্নমানের ৫২টি খাদ্যপণ্য বাজারে থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য ধরা পড়ার পর, ওইসব পণ্য বাজার থেকে তুলে নেয়া প্রয়োজন ছিল। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়েও হতাশা জানায় আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করে। ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ রিট করেন।
রিটে বাজার থেকে ৫২টি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য জব্দ বা প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়। একইসঙ্গে মান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এসব পণ্য উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
অন্যদিকে, রোজাকে কেন্দ্র করে ভেজালবিরোধী অভিযানে নেমেছে বিএসটিআই। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক। অভিযানে ফল, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, কসমেটিকসসহ বিভিন্ন পণ্য পরীক্ষা করে দেখেন তারা। মান নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় পণ্য জব্দ ও জরিমানা করা হয় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে।
বিএসটিআই সম্প্রতি ২৭ ধরনের ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। এর মধ্যে ৩১৩টি পণ্যের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ৫২টি পণ্য নিম্নমানের ও ভেজাল। বিএসটিআই ওই পণ্য সংশ্লিষ্ট ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করেছে।