দর্পণ ডেস্ক : সম্প্রতি এক মার্কিন ম্যাগাজিনের খবরে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আর নিক জোনাসের বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন ভাসছে। তবে এই খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কার এক মুখপাত্র।

সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা ও নিকের বিবাহ-বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ করে হুলস্থূল কাণ্ড ঘটায় মার্কিন ম্যাগাজিন ‘ওকে’। বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় জনপ্রিয় এই জুটির বিবাহবিচ্ছেদের খবর ছড়ানোয় বেশ ভড়কে যান তাদের ভক্তরা। শোনা যাচ্ছে, এ ঘটনায় ওই ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন প্রিয়াঙ্কা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিয়াঙ্কার দাদাগিরিতে ক্ষুব্ধ ছিলেন নিক।কোন পার্টি, ঘুরতে যাওয়া, কিংবা সময় কাটানো—সবমিলিয়েই নাকি ছোটখাটো দ্বন্দ্ব তাঁদের মধ্যে লেগেই আছে। বিয়ের আগে নিক প্রিয়াঙ্কাকে শান্ত মেজাজের সহজ নারী হিসেবেই ভেবেছিলেন। কিন্তু বিয়ের ১১৭ দিনের মাথায় তার ‘আসল রূপ’ বেরিয়ে পড়েছে বলে জানায় এই ম্যাগাজিন। নিকের নাকি এখন প্রিয়াঙ্কাকে আধিপত্যশীল আর বদমেজাজি মনে হচ্ছে! নিকের পরিবার প্রিয়াঙ্কাকে একজন বয়স্ক অভিজ্ঞ নারী হিসেবেই ভেবেছিলেন, যিনি বিয়ের পর সন্তান নেবেন ও সংসারে থিতু হবেন। কিন্তু এখন প্রিয়াঙ্কার ২১ বছর বয়সী পার্টি গার্লের চরিত্র দেখে নাকি হাত জোড় করে নিককে বিবাহবিচ্ছেদের পরামর্শ দিয়েছে তার পরিবার। বিয়ের আগে কোনো চুক্তি না করায় বিবাহবিচ্ছেদের পর অর্থ নিয়েও তাদের ভেতর দ্বন্দ্ব হবে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।এই জুটির ঘনিষ্ঠ অনেকেই মনে করছেন, খুব তাড়াতাড়ি তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। এখন তার দাম দিতে হচ্ছে।

প্রিয়ঙ্কার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, বেশির ভাগ সময়ই গুজবকে কোনও পাত্তা দেন না নায়িকা। কিন্তু এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন।যদিও আইনি পথে প্রিয়াঙ্কা ব্যবস্থা নেওয়ার পর গোটা ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়, এটাই এখন দেখার বিষয়।