গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের আশংকা, ভোটারদের হুমকি, আচরনবিধি লংঘন ও খুন জখমের আশংকা করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী স্থানীয় প্রেসক্লাবে পৃথক দু’টি সংবাদ সন্মেলন করেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে প্রথম সংবাদ সন্মেলন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আখতারুজ্জামান কোক্কা। পাল্টা অভিযোগ এনে দুপুর ১২ টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম রাকিবুল আহসান পরবর্তী সংবাদ সন্মেলন করেছেন। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ আখতারুজ্জামানের পক্ষে সংবাদসন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন তার ছেলে মো. মশিউর রহমান শিমু। তিনি অভিযোগ করেন, ২৩ টি কেন্দ্র দখলের জন্য নৌকা প্রতীকের সমর্থক কলাপাড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি জাকি হোসেন জুকু খান, কুয়াকাটার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা, লতাচাপলীর চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা, বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, খায়রুল তালুকদার, চম্পাপুরের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার, শেখ যুবরাজ, আল-আমিন তালুকদার, তারেক বয়াতী ও খায়রুল তালুকদারের নেতৃত্বে তার কর্মী-সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম রাকিবুল আহসান স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলে সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, ঠোঙ্গা মিজান, মো. মোকছেদ, কালা মিরাজ, জুলহাস মোল্লা, নাজমুল, কালাম, ইউনুস, জাহিদ, আ. মালেক আকন, রাঙ্গা জাহাঙ্গীর সহ আরো ৭/৮ জনের নাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

এসব ঘটনায় উভয় প্রার্থী উৎকন্ঠা জানিয়ে সহকারী রিটার্ণিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উভয় প্রার্থীর পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ
সৃষ্টির দাবি করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান জানান, উভয় পক্ষ থেকে লিখিত দুইটি অভিযোগ
পাওয়া গেছে, যা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কলাপাড়ায় উপজেলা
নির্বাচনকে ঘিরে শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণা চলছে।