দর্পণ ডেস্ক : আমরা বরই বলি কিংবা বলি কুল-দুই নামেই সমান পরিচিত এই ফল। মজার ব্যাপার হলো, দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই সব মাটিতেই জন্মে গাছটি। তেমন কোনো যত্নআত্তি লাগে না।, কোনো বালাই ছাড়াই দিব্যি বেঁচে থাকে বছরের পর বছর। একসময় এই গাছটি অবহেলাতেই বেড়ে উঠত। এখন কিন্তু বরইয়ের সেই দিন নেই। বড় যত্ন করে চাষ করা হয়। ফলটি যেমন অর্থকরী, তেমনি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।

আমরা যারা গ্রামে বেড়ে উঠেছি, তারা মূলত বরই কিনে খাওয়াটা জানতামই না। ঘরে ঘরে গাছ। নিজের না থাকলেও একসময় অন্যের গাছ থেকে খাওয়া যেত। আজকাল যেহেতু অর্থকরী হিসেবে উঠে আসছে এই বরইয়ের নামও— তাই হিসাবও বদলে গেছে।

বরই সম্পর্কে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, বরইয়ে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ আছে নানা কিছু। রোগ প্রতিরোধে যেমন ভূমিকা রাখে, অন্যদিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। বরই সবার জন্য ভালো হলেও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কিন্তু না। পাকা বরইয়ে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পাকা বরই না খাওয়াই ভালো। আর যাঁদের শ্বাসকষ্ট আছে, কাঁচা বরই বেশি খেয়ে ফেললে তাঁদের শ্বাসকষ্ট কিন্তু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বরই যেসব কারণে অনন্য—

শক্তি জোগায়: বরইয়ের উপাদানগুলো শরীরে শক্তির জোগান দেয়। অবসাদ কেটে যায় দ্রুত।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ: বরই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি যকৃতে সুরক্ষা বর্ম তৈরি করে এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়তে পারে।

বয়স বেঁধে রাখে: বরই শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়।

ত্বক সুরক্ষায় : ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে বরই। রোদে পোড়া ত্বক সুরক্ষার কাজেও কার্যকর।

ক্ষুধাবর্ধক এবং হজমে বরই কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার সমাধান করে। ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

হাড় ও দাঁতের জন্য : বরই একই সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসসমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় গঠনে এবং দাঁতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।