টুইটারে ৭৪ পাতার ইশতেহার (ঘোষণাপত্র) আপলোড করে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার আগেই হামলাকারী ঘোষণা দেয়। ইশতেহারে ওই হামলাকারী বলে- ‘এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা।’ এর মাধ্যমে ওই সন্ত্রাসী হামলার আভাস আগেই তিনি দেয়। দ্য টেলিগ্রাফ, ইনডিপেডেন্টসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোয় এ ইশতেহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডানও এ হামলাকে সুপরিকল্পিত বলে উল্লেখ করেছেন।তিনি বলেন, ‘হামলাকারীর গাড়িতে দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস যুক্ত করা ছিল।’
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ওই হামলায় অন্তত ৪৯ মুসল্লিকে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার এক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী। এতে আরও অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি আধা স্বয়ংক্রীয় শর্টগান ও রাইফেল দিয়ে সাউথ আইল্যান্ডে আল নূর মসজিদে অন্তত ৫০টি গুলি ছোড়ে ২৮ বছর বয়সী ওই যুবক।
খুদে ব্লগ টুইটারে হামলাকারী নিজের পরিচয় দিয়েছেন ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামে। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন থেকে এসেছেন। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার সময় মসজিদের ভেতর থেকে সামাজিকমাধ্যমে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচার করেন এ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী।
আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ চলার সময় এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ চার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।