দর্পণ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, যে যাই বলুক, যে দাবিই উঠুক না কেন, ডাকসুতে পুনরায় নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় নিজ কার্যালয়ে প্রোভিসি সাংবাদিকদের বলেন, দেশের মানুষ ডাকসু নির্বাচন দেখেছে মিডিয়ার মাধ্যমে, মিডিয়া সাক্ষী। দুইটা হলের মধ্যে একটাতে সামান্য অনিয়ম হয়েছে। আমরা সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। আরেকটা হলে অনিয়ম বলবো না হাঙ্গামা হয়েছে। কাজেই ডাকসু নির্বাচন যারা বর্জন করেছে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে নির্বাচন বাতিল করার এখন কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না।

এদিকে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে টিএসসি চত্বরে সমবেত হয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। প্রহসনের নির্বাচন মানি না, মানবো না, মানবতার ফেরিওয়ালা নির্বাচনে দিচ্ছে তালা, জালিয়াতির নির্বাচন বাতিল করতে হবে, দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত প্ল্যাকার্ড ফেস্টুনে লেখা এমন নানা স্লোগান হাতে শিক্ষার্থীরা বিকেল পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার বেলা ২টায় সহকর্মীদের নিয়ে হাসপাতাল থেকে টিএসসি এলাকায় আসেন নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক। এসময় টিএসসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার মাঝে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নুরুল হক সহ ডাকসু নির্বাচনে কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেলের সদস্যদের ওপর হামলা করেন।

এ সময় ছাত্রদলের অপর একটি মিছিল সেখানে এলে টিএসসিতে অনেকটা ত্রিমুখী সংঘর্ষের অবস্থা সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মিছিলে থাকা ডাকসু নির্বাচনের সমাজসেবা পদে প্রতিন্দ্বন্দ্বিতাকারী ছাত্রদলের তৌহিদুর রহমানের মাথা ফেটে যায়।

এদিকে, ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে টিএসসির সামনে বাম জোটের মিছিলের দিকে চলে যান নুর ও তার সহকর্মীরা। এরপর বাম জোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী, বেনজীরসহ নুরদের মিছিল টিএসসি থেকে ঢাবির ভেতরে ঢোকে।

নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক বলেন, ডাকসু নির্বাচনের সময় যারা সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্রলীগ একটা গুজবের সংগঠন। তারা সব সময় শুধু গুজব ছড়ায়। এছাড়া ঢাবি প্রশাসন ছাত্রলীগের অপকর্মের সহযোগী বলে মন্তব্য করেন তিনি।