দর্পণ ডেস্ক : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার মোদির ঘর থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে কংগ্রেস। গুজরাটের আহমেদাবাদে অবস্থিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ন্যাশনাল মেমোরিয়ালে সিডব্লিউসি নামে কংগ্রেসের ওই নীতি নির্ধারণী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

গুজরাটে অভিষেক ভাষণও দিয়েছেন সম্প্রতি রাজনীতিতে পা-রাখা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী। ভোটকে মোক্ষম অস্ত্র করে ৪৭ বছর বয়সী এ নেত্রী বলেন, ‌এবারের নির্বাচন স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কম নয়। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, কৃষক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেত্রী। খবর এনডিটিভি।

মহাত্মা গান্ধী ‘ডান্ডি মার্চ’ নামে ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ থেকে শুরু করে ২৪ দিনের যে অহিংস আন্দোলন করেন তার অনুকরণে একই তারিখ থেকে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে দলটি।

মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংস্থাকে (আরএসএস) ক্ষমতা থেকে হটাতে দলটির উচ্চপর্যায়ের নীতি-নির্ধারণী দল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি) মোদির রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে।
গত রোববার বিকেলে ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা লোকসভার ৫৪৩টি আসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এবারের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সাত দফায়। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে সাত দফার ভোটগ্রহণ শেষ হবে ১৯ মে। ভোটগণনা করে ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২৩ মে।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহাসিক এই ডান্ডি মার্চের বার্ষিকীতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি বিজেপি ও আরএসএসের ফ্যাসিবাদী, ঘৃণা, প্রতিহিংসা ও বিভেদ সৃষ্টিকারী মতবাদকে পরাজিত করার শপথ করছে।’

বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধী জনসংকল্প সমাবেশে যোগ দেন। যেখানে ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’ স্লোগানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
কংগ্রেসদলীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘কংগ্রেসের উচিত হবে এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় ইউপিএস জোটের অর্জনগুলোকে তুলে ধরা। বিশেষ করে দলের যেসব নীতি মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটিয়েছে।’ তিনি মোদির সরকারের প্রতি অভিযোগ তুলে বলেন, ‘তারা মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে মানুষের সর্বনাশ করার চেষ্টা করছে।