দর্পণ ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের নানা অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছে ছাত্রলীগ ছাড়া সবগুলো প্যানেল। একই সঙ্গে অবিলম্বে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ (সোমবার) বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সব প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী এই ঘোষণা দেন। এর আগে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী-কর্মীদের ধাওয়া দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করছেন ঐক্যের নেতারা।

এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী নূরুল হক নূরকে মারধর করা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সোমবারবেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর গোলাম রাব্বানী বলেন, নুরুকেই জিজ্ঞেস করেন সে কেন ছাত্রীদের হলে গিয়েছিল। একটি চক্র এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

ঘটনাস্থলে থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, রোকেয়া হলে ৯টি ব্যালট বাক্স থাকার কথা বলা হলেও ভোটগ্রহণ শুরুর সময় ৬টি ব্যালট বাক্স দেখানো হয় প্রার্থীদের। কিন্তু বাক্সগুলো সিলগালা করা হয়নি। বাংলাদশে কুয়েত মৈত্রী হলে আগে থেকেই সিল মারা ব্যালট পেপার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এই হলের শিক্ষার্থীরাও বাক্স তল্লাশির দাবি জানান। যে কক্ষে ব্যালট বাক্স রাখা হয়েছে সেখানে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগ মনোনীত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী, ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খণ্দকার অনিক ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক। কক্ষটি দেখে ছাত্রলীগের নেতারা কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু ছাত্রদলের অনিক জানান, বাক্স সিলগালা নেই। তখন নূর কথা বলতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। এতে তিনি আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগ পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।