দর্পণ ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) কোলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে ওই কর্মসূচিতে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও শান্তির পক্ষে বক্তব্য দেন। তাঁরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত পোস্টার হাতে নিয়ে ওই কর্মসূচিতে শামিল হন।
পশ্চিমবঙ্গের ভাষা ও চেতনা সমিতির আহ্বানে ওই কর্মসূচিতে কোলকাতার সাবেক মেয়র ও কোলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ একটা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ তৈরি করে পুঁজিবাদীরা। সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। সন্ত্রাসবাদ কখনও বোমা, গুলি দিয়ে শেষ করা যায় না। কাশ্মির জনগণসহ সমস্ত ভারতীয় জনগণের ঐক্য স্থাপনের মধ্য দিয়েই সন্ত্রাসবাদীদের আমরা বিচ্ছিন্ন করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘পুলওয়ামাতে ওই ঘটনা (সন্ত্রাসী হামলা) ঘটল কীভাবে? সেখানে আরডিএক্সসহ একটা গাড়ি কীভাবে পৌঁছল? অত কঠোর সামরিক ব্যবস্থা, কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে অত আরডিএক্স সংগ্রহ করা হল? এই ত্রুটি কার? আমাদের আশঙ্কা খুব পরিকল্পিতভাবে এটা ঘটানো হয়েছে। সেজন্য পুলওয়ামার ঘটনার তদন্ত হোক এবং অপরাধীকে খুঁজে বার করে তাদের শাস্তি দেয়া হোক। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।’
ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক ও কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক বলেন, ‘সাধারণ সৈনিকরা মারা গেলেও তাদের পেনশন পর্যন্ত দেয়া হয় না। বিজেপি সরকার নিয়ম করেছে কোনো আধাসামরিক জওয়ান শহীদের মর্যাদা পাবেন না এবং তাঁরা পেনশনও পাবেন না। দুই লাখ সেনা তারা ছাঁটাই করেছেন। এই সরকারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতি কোনো দরদ নেই।’
যুদ্ধ বিরোধী ওই কর্মসূচিতে সাবেক মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, আইনজীবী কল্লোল বসু, সমাজকর্মী সুখনন্দন সিং আলুওয়ালিয়া, বিশিষ্ট চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।