Collage representing man having pain at several part of body

দর্পণ ডেস্ক : মাসল স্পাজম মাসল ক্রাম্পস নামেও পরিচিত। যখন পেশি অনিচ্ছাকৃত এবং জোরপূর্বক সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে এবং শিথিল হতে পারে না তখন একে মাসল স্পাজম বলে। বেকায়দায় ঘুমানোর কারণে ঘাড়ের মাংসপেশিতে টান পড়ার কারণেই সাধারণত এটি হয়ে থাকে।

মাসল স্পাজম খুবই সাধারণ ব্যাপার এবং শরীরের যে কোনো পেশি এতে আক্রান্ত হতে পারে। পেশির কিছু অংশ কিংবা বেশি জায়গা নিয়ে এটি দেখা দিতে পারে।

মাসল স্পাজম সাধারণত উরু, পা, হাত, বাহু, তলপেট এবং কখনো কখনো বুকের অস্থি বরাবর হয়ে থাকে। তবে কাঁধ, ঘাড়, পিঠের মাংসপেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

মাসল স্পাজমে কেমন বোধ হয়?
মাসল স্পাজমে আক্রান্ত ব্যক্তি পেশিতে হালকা থেকে প্রচণ্ড টান অনুভব করে। এতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এ সময় আক্রান্ত এলাকা স্পর্শে স্বাভাবিকের চেয়ে কঠিন বোধ হয়। এ ছাড়া আক্রান্ত স্থানে মৃদু টান বা ঝাঁকি দেওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান হতে পারে। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে ১৫ মিনিট এমনকি বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

কারা মাসল স্পাজমে আক্রান্ত হয়?
যে কোনো সময় যে কেউ মাসল স্পাজমে আকান্ত হতে পারে। বৃদ্ধ, তরুণ কেউই এর বাইরে নয়। হাঁটা, বসা, ব্যায়াম করার সময়, এমনকি ঘুমের মধ্যেও এটি হতে পারে। শারীরিক পরিশ্রম করেন এমন কারো কারো ক্ষেত্রে এটি একাধিকবার দেখা দিতে পারে। শিশু এবং বৃদ্ধ (৬৫ বছর বয়সী), অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন এমন ব্যক্তি এবং অসুস্থরা বেশি মাসল স্পাজমে আক্রান্ত হয়।

মাসল স্পাজমের কয়েকটি কারণ :
শারীরিক কার্যকলাপের আগে যথেষ্ট ওয়ার্মআপ না করা।
পেশিতে অবসাদ।
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ব্যায়াম।
পানিশূন্যতা।
পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা।