দর্পণ ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মধ্য কোলকাতার সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠিত ৪৩তম আন্তর্জাতিক বইমেলায় সম্প্রতি রেডিও তেহরানের শ্রোতাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রচারসামগ্রী ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়েছে।

একটি আন্তর্জাতিক বেতারের শ্রোতা সম্মেলনকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন শ্রোতারা। শ্রোতা সম্মেলনে সারারাজ্য থেকে অর্ধশত শ্রোতা ও ক্লাব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এতে রেডিও তেহরানের মনিটর নাজিমউদ্দীনও অংশ নেন। তিনি অংশগ্রহণকারী শ্রোতা ও ক্লাব প্রতিনিধিদের মাঝে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান সূচি, কিউএসএল কার্ড ও শ্রোতা তালিকাভুক্তি ফরম বিতরণ করেন। এছাড়া, যেসব শ্রোতা নিয়মিত রেডিও তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তাদেরকে ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) বিশ্বকার্যক্রমের উপমহাদেশ ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক হাসান নওরোজি স্বাক্ষরিত সনদপত্র প্রদান করা হয়।

কোলকাতা বইমেলায় শ্রোতাদের সঙ্গে রেডিও তেহরানের মতবিনিময়ে যোগ দেন বেশকিছু শ্রোতা। কয়েকজন টেলিফোনে যোগ দেন। এসময় শ্রোতারা রেডিও তেহরানের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং ওয়েবসাইটের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেইসাথে তারা বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দেন।
মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের শ্রোতা শহিদুল হক বলেন, “২০১৯-এ রেডিও তেহরানকে প্রায় দুই দশক পর আবিস্কার করে দারুণ সুখানুভূতি হচ্ছে; নতুন করে শ্রোতা সদস্য ফরম পূরণ করে ভালো লাগছে। আর পশ্চিম বাংলার রেডিও তেহরানের সক্রিয় মনিটর নাজিমুদ্দীন ভাইয়ের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা ভোলার নয়। দীর্ঘদিন পর আপনাদের কার্ড, শংসাপত্র আর সূচি পেয়ে পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ছে। রেডিও তেহরানের দীর্ঘজীবন ও সাফল্য কামনা করি।”

দুর্গাপুরের শ্রোতা শ্যামল কুমার ব্যানার্জি বলেন, “রেডিও তেহরানের নির্ভীক বিশ্ব সংবাদ, দৃষ্টিপাত, কথাবার্তা ও প্রিয়জন আমার প্রিয় অনুষ্ঠান। ভালো লাগে ঈদ প্রাক্কালে কুরআনের বাণীগুলো।”
রেডিও তেহরান- বাংলা বিভাগের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ঝাড়গ্রামের শ্রোতা মৃত‍্যুঞ্জয় বেরা জানান, আপনাদের প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো চিত্তাকর্ষক ও তথ‍্যসমৃদ্ধ। কথাবার্তা, প্রিয়জন, আলাপন, রংধনু প্রভৃতি আমার খুবই ভালো লাগে। আপনাদের পাঠানো অনুষ্ঠানসূচি, ভিউকার্ড, শংসাপত্র পেয়ে খুব আনন্দ পেলাম। আশা করি ভবিষ্যতে ও রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে শ্রোতাদের প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ রাখবে।”
রেডিও তেহরানের বিশ্বসংবাদ খুবই ভালো লাগে, কারণ একমাত্র রেডিও তেহরান সারা বিশ্বের মুসলিমদের খবর তুলে ধরা হয়। আমি আমার বন্ধুদের রেডিও তেহরান শোনার জন্য বলে থাকি এবং বর্তমানে অনেকে শুনছে।”

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার শ্রোতা সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য তার প্রতিক্রিয়া জানান লিখিতভাবে। তিনি লিখেছেন, “আমি রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের নিয়মিত শ্রোতা। ২ ফেব্রুয়ারি কোলকাতা বইমেলায় গিয়ে রেডিও তেহরান বাংলা’র মনিটর এস এম নাজিমুদ্দিন এর নিকট হতে সার্টিফিকেট পেলাম। সঙ্গে কিছু কিউএসএল। এক কথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ রেডিও তেহরান ও তার মনিটরকে। আমি সারাজীবন মনে রাখব।

প্রস্তাব
১) ভারত বাংলাদেশ এর জন্য দুটি ফ্রিকুয়েন্সি ব্যাবহার করতে হবে।
২) কোলকাতায় শ্রোতা সম্মেলন।
৩) নিয়মিত কিউএসএল প্রদান।”
ছত্তিশগড়ের ভিলাই, কহকার শ্রোতা আনন্দ মোহন বাইন লিখেছেন, “রেডিও তেহরান বাংলা এর মনিটর নাজিমুদ্দিন ভাইয়ের নিকট হতে certificate ও সঙ্গে কিছু কিউএসএল পেলাম। আমি ১৯৮৫ সাল থেকে রেডিও তেহরান, বাংলা বিভাগের সঙ্গে আছি ও অনুষ্ঠান শুনে আসছি। বিশ্ব সংবাদ, দৃষ্টিপাত, প্রিয়জন আমার প্রিয় অনুষ্ঠান। আপনাদের রিপোর্ট অত্যন্ত নিরপেক্ষ।”
বর্ধমান জেলার মেমারীর শ্রোতা গোলাম গাউস ইরানে ইসলামী বিপ্লবের ৪০তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রায় ৩৫ বছর আগের পুরানো শ্রোতা আমি, দীর্ঘ দিন পর রেডিও তেহরানের পাঠানো স্মারক পেয়ে খুবই আনন্দিত। এখন ৪৯ মিটার ব্র্যান্ডে শ্রবণ মান উন্নত হয়েছে।”

মুর্শিদাবাদের নওপাড়া ফ্যামিলি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের নিজামুদ্দিন শেখ রেডিও তেহরান সম্পর্কে মূল্যায়ন করেন এভাবে- “বিশ্ব মুসলিমের একমাত্র বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হচ্ছে রেডিও তেহরান। যায়নবাদী ইসরাইল, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাসহ বিশ্বের সমস্ত অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যে বেতার কেন্দ্র’ তার নাম রেডিও তেহরান। নতুন আঙ্গিকে অনুষ্ঠান সূচি, কিউএসএল কার্ড এবং শংসাপত্র আশা করি সকল শ্রোতা বন্ধুদের মন জয় করবে ও রেডিও তেহরান কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যেক শ্রোতাবন্ধুর হাতে পোঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।”

গত ৩১ জানুয়ারি ৪৩তম আন্তর্জাতিক কোলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই বইমেলা।