জাহেদ হোসেন:লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দীর্ঘ চল্লিশ বছর অপেক্ষা করেও হাজার হাজার মানুষ চলাচলের জন্য নির্মিত হয়নি একটি সেতু। জনতার চাঁদার টাকায় দিয়ে এ জায়গায় বিশাল আকারের একটি সাঁকো নির্মাণ করে বছর বছর পর চলে সংস্কার। কিন্তু ৪০ বছর পরও বাশেঁর সাঁকোটি পরিবতর্ন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেই সাঁকোটি। হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পারাপারের পাশাপাশি কৃষকরা তাদের ফসল নিয়ে বাড়তি প্রায় পাঁচ মাইল পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে চরম দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের বার বার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপাতা, চরমোহনা, দেবীপুর, শায়েস্তানগর, উত্তর রায়পুর, পাঁচটি গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ডাকাতিয়া নদী। নদীটি পারাপারের জন্য একটি ব্রিজের খুবই প্রয়োজন। কিন্তু ব্রিজের জন্য ৩০ বছর আগে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও এলাকার সাংসদদের কাছে বারবার গেলেও তা কর্ণপাত করেননি। তাই এলাকাবাসীর চাঁদায় নদীর উপর নির্মান করা হয় বাশেঁর সাঁকো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর লক্ষ্মীপুরের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেট হলেও পরিমাণ মত না হওয়ায় নদীর উপরে ব্রীজটি আর নির্মান হয়নি। কর্মকর্তারা বলছেন নদীর উপরে ব্রীজ করতে হলে পর্যাপ্ত বাজেট ছাড়া সম্ভব নয়। দেবীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন মৈশাল জানান, ডাকাতিয়া নদীর উপর গ্রামবাসীর ঝুঁকিপূর্ণ বাশেঁর সাঁকোটির উপর দিয়ে হাজার লোক, জনকল্যান বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, শায়েস্তনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েল শিক্ষার্থীসহ রায়পুর শহরে গ্রামবাসীরা আতংক নিয়ে পারাপার হতে হয়। এছাড়াও সাঁকোটির চারপাশ বিশাল এলাকাজুড়ে আবাদি জমি রয়েছে। কিন্তু ব্রিজ না থাকায় কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে কৃষকরা এপার থেকে ওপারে যেতে পারেন না।

রায়পুর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আলম সুমন জানান, কয়েক মাস আগে নদীর উপরে ওই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর জায়গায় ব্রীজ নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে বাজেট পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল আক্তার হোসেন ভূঁইয়া জানান, আমি এখানে আসার অনেক আগেই ডাকাতিয়া নদীর উপর বাশেঁর তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি দেখতে পেয়েছি। গ্রামবাসীর উপকারর্থে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।