দর্পণ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘনকারীদের কারণে বাংলাদেশ বার বার পিছিয়ে গেছে। তারা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ না করে, তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগ সরকারে এসে জনগণের জন্য কাজ শুরু করে।

আজ (রোববার) সকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময়, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পুনঃব্যক্ত করে, সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। আর সে কারণেই আজ দেশ এগিয়ে গেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আরও বেশি বেশি শ্রম দিতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সব কাজ পরিকল্পিতভাবে করতে হবে।

তৃণমূলের উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে। উপজেলাভিত্তিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সবার জন্য সুপেয় পানির নিশ্চয়তা, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জেলাভিত্তিক ধারণা নিয়ে আগামীতে মূল বাজেট প্রণয়ন করার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, দেখা যাচ্ছে, যে যেখান থেকে দাবি করছে, সেখানে রাস্তা হচ্ছে। সেটা না করে আমরা যদি এটা পরিকল্পিতভাবে করতে পারি, তবে বেশি মানুষ এটার সুবিধা পাবে। যেহেতু প্রচুর রাস্তা হয়ে গেছে, এতে আমাদের কিছু করার নেই। সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে রাস্তাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেই। রক্ষণাবেক্ষণ না হলে এক সময় সেই রাস্তা আর কাজে লাগে না।

সরকার প্রধান বলেন, অনেকগুলো কাজ রয়ে গেছে। যেগুলো আমাদের করতে হবে। আমি সব সময় চিন্তা করেছি কীভাবে মানুষের কাছে যাওয়া যায়। মানুষের কাজটা করা যায়। মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় হলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।