দর্পণ ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে বিষাক্ত মদ পান করে ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশই উত্তরাখণ্ডে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সেখানে মদ পান করেছিলেন। মৃতরা উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলা ও পার্শ্ববর্তী উত্তরাখণ্ড রাজ্যের হরিদ্বারের বাসিন্দা।

উত্তর প্রদেশ সরকার নিহতদের পরিবার পিছু দুই লাখ এবং হাসপাতালে থাকা অসুস্থদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে।

আজ (শনিবার) হিন্দি টিভি চ্যানেল ‘আজতক’ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় সাহারানপুরের ৬৪, কুশিনগরে ৮ এবং রুরকির ২০ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।

সাহারানপুরের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরাখণ্ডের এক অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসার পরেই মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৪৬ জনের লাশ ময়নাতদন্তে প্রকাশ, ৩৬ জনই বিষাক্ত মদ পানে মারা গেছেন। বেশ কিছু মানুষ এখনও মীরাট হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বলা হচ্ছে।

প্রশাসনিক গাফিলতির দায়ে নাগল থানার কর্মকর্তাসহ দশ পুলিশ কর্মী ও কর্মকর্তাসহ আবগারি বিভাগের পাঁচ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা ও গভীর রাতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব ও পরে পুলিশের ডিজিপি জেলা কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোটা জেলায় বিষাক্ত মদ নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। আগামী পনের দিন ধরে অবৈধ মদের ভাটি উচ্ছেদ ও ধরপাকড় চলবে।

আজ (শনিবার) উত্তর প্রদেশের সিনিয়র পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ওই ঘটনায় ৩টি থানায় ২৫টি এফআইআর করার পাশপাশি গত রাতের অভিযানে এপর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জনকে গ্রেফতার এবং চারশ’ লিটার অবৈধ মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, বিজেপি জনগণকে মদ পানে উৎসাহিত করছে। মানুষজন না জানার ফলে এ ধরণের মদ পান করছে। সরকার মদ মাফিয়াদের রক্ষা করছে বলেও অখিলেশ মন্তব্য করেছেন।