দর্পণ ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ভেনিজুয়েলায় আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন । শনিবার তিনি রাজধানী কারাকাসে কয়েক হাজার সমর্থকের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, এ বছরই অবাধ ও নিরপেক্ষ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে মাদুরো এমন সময়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন যখন দেশটির সামরিক বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা পক্ষত্যাগ করে স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো’র পক্ষ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গুইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, আর কোনও আলোচনার সুযোগ নেই। মাদুরো সরকারকে উৎখাতে সব বিকল্প ইতোমধ্যেই আলোচনার টেবিলে রয়েছে। তার স্বৈরশাসনের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে।

২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত হুয়াদ গুইদো নিজেকে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট দাবির পর থেকেই ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন মোড় নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুইদোকে সমর্থন দিলেও মাদুরো’র পাশে দাঁড়ায় রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের মতো দেশগুলো। শনিবারের সমাবেশে ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান মাদুরো। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চৈতন্য বাড়ছে।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত প্রথম সদস্য হিসেবে হুয়ান গুইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেন বিমানবাহিনীর জেনারেল ফ্রান্সিসকো জানিয়েস। টুইটারে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে বিমান বাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিংয়ের প্রধান জানিয়েস দাবি করেন সশস্ত্র বাহিনীর ৯০ শতাংশ এখন মাদুরোকে সমর্থন করছেন না। তবে নিজস্ব ওয়েবপেজে তাকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছে ভেনেজুয়েলার বিমানবাহিনী।

টুইটারে জানিয়েসের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই রাজধানী কারাকাসের বাইরে আরাগুয়ায় মাদুরোবিরোধী এক বিক্ষোভে যোগ দেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আন্দ্রেস এলোয় ভলকান। টুইটারে পোস্ট করা ওই বিক্ষোভের ভিডিওতে তাকে জুয়ান গুইদো প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিতে শোনা যায়। ‘গণতন্ত পুনপ্রতিষ্ঠায়’ সামরিক বাহিনীর অন্য সদস্যদেরও তাকে অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।