দর্পণ ডেস্ক : ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে দেশটির বিরুদ্ধে সামারিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা নাকচ করেন নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ মিক মুলভেইনি।

গতকাল (রোববার) তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমি মনে করি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিষয়টি অস্বাভাবিক নিবিড়ভাবে বিবেচনা করছেন’।

সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও বলেছেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনিজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। গ্রাহাম সে সময় প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনার ধীরে-সুস্থে অগ্রসর হওয়া উচিত যাতে সমস্যা না হয়’।

গ্রাহামের বক্তব্যের জবাবে ট্রাম্প নাকি বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত হলাম, আপনি সবার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে চান অথচ আপনি এখানে বিপরীত অবস্থানে’। ট্রাম্পের এ বক্তব্যের জবাবে গ্রাহাম বলেছেন, ‘আমি সবার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে চাই না; যখন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ হুমকির মুখে পড়ে তখন সামরিক অভিযান চালাতে চাই’।

গত মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিরোধীরা ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে নতুন নির্বাচন দাবি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার ভেনিজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইডো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। এর পরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে স্বীকৃতি দেন। কিন্তু ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কসহ বহু দেশ মাদুরোর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। এ প্রেক্ষাপটে ভেনজিুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসনের কথা বিবেচনা করছে আমেরিকা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ভেনিজুয়েলা ইস্যুতে বিশ্বে আবার প্রকাশ্য স্নায়ুযুদ্ধ দেখা দিতে পারে।