গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া, মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর, পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্রবন্দর সহ সমুদ্র উপকুলীয় শতাধিক হাট-বাজারে এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এছাড়া পৌরশহরে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে পানি সরবরাহ সচল রাখতে জেনারেটর ক্রয় করলেও রহস্যজনক কারনে তা পৌরবাসীর কোন আসছে না।

এদিকে বিদ্যুতের দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে গ্রামীন সহ একাধিক মুঠো ফোন কোম্পানীর টাওয়ারের ব্যাক আপ ব্যাটারী বিকল হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকছে মানুষ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিস বলছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে মেরামতের জন্য পুরো জানুয়ারী জুড়ে এ অবস্থা থাকবে। আর বারংবার সঞ্চালন লাইনে মেরামতের নামে বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন বিদ্যুৎ গ্রাহক সহ স্থানীয়রা।

এতে পর্যটন শহর কুয়াকাটা, মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার হোটেল মোটেলসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোকে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে চাতাল কল, বিদ্যুত চার্জ নির্ভর যানবাহন, কলকারখানা,
অফিস-আদালত এবং কম্পিউটারসহ বিদ্যুত নির্ভর সকল প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার শিল্পপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত এবং বিদ্যুত নির্ভর প্রতিষ্ঠান গুলোতে চরম বিরম্বনার শিকার হচ্ছে সেবা গ্রহীতারা।

এদিকে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক মনোহর কুমার বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বরিশাল পটুয়াখালী জেলার ১৩২ কেভি সঞ্চালন বৈদ্যুতিক লাইনের মেরামত ও রক্ষানাবেক্ষন কাজের জন্য পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার সকল উপজেলা গুলোতে ১৮ জানুয়ারী থেকে ৩১ জানয়ারী পর্যন্ত সকাল ৭টা তেকে ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।