দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় এশীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিজিওনাল কন্সালটেটিভ গ্রুপের (আরসিজি) চতুর্থ সেশনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এশিয়া ও প্রশান্ত মাহসাগরীয় রিজিওনাল কনসালটিভ গ্রুপের চতুর্থ সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ প্রতিরোধ করতে পারব না। তবে আমাদের দূরদর্শী কাজের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে পারি। বাংলাদেশে আমরা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে প্রশমন কর্মসূচির ওপর গুরুত্বারোপ করেছি’।

তিনি এ সময় মানব-সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা যানবাহন দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, ভবন বা সেতু ধ্বংস, সন্ত্রাসী আক্রমণের মত মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগকেও উপেক্ষা করতে পারি না। এসব দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে’।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের নিবিড় সম্পর্কের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছি। এ পরিকল্পনার আওতায় আগামী ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলাসহ দুর্যোগ-ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে আমরা ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (ইওসি) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। ফলে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত ও কার্যকর মানবিক সহায়তা পরিচালনা সম্ভব হবে।

দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ শাহ কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক এবং ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপো, স্টেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড হিউম্যানিটেরিয়ান এসিসটেন্সের পরিচালক জোসেপ মার্টিন এবং জাতিসংঘের মানবিক বিষয় বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয়ের উপপ্রধান সেবাস্টিয়ান রোডস স্ট্যাম্পা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।